যেসব জেলায় দুপুরের মধ্যে ঝড়ের শঙ্কা
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ১২ জেলায় দুপুরের মধ্যে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। সংস্থাটি বলেছে, এসব জেলায় একইসঙ্গে হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টি।
আজ শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, সিলেট ও কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি এসব এলাকায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার রাজধানী ঢাকায় সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রায় ছয় ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ রেকর্ড করা হয় ১৩০ মিলিমিটার। টানা এ বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে রাজধানীর ফকিরাপুল, নয়াপল্টন, বায়তুল মোকাররম, শান্তিনগর, মালিবাগ মোড়, আরামবাগ, প্রগতি সরণি, নিউমার্কেট, ধানমণ্ডি রাপা প্লাজা, বংশাল, মিরপুর রোকেয়া সরণি, দয়াগঞ্জ মোড়, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, নিমতলী, টয়েনবি সার্কুলার রোড, ধানমণ্ডি ২৭, এলিফ্যান্ট রোড, মৎস্য ভবন, কারওয়ান বাজার, বিজয় সরণি, ঢাকা গেট ভিআইপি রোড ও মিরপুর মাজার রোড এলকার সড়ক। এতে সৃষ্টি হয় যানজট ও জনদুর্ভোগ।
এদিকে গতকাল শনিবার আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এ সময়ে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সন্দ্বীপে ১৮৮ মিলিমিটার। এ ছাড়া রাজশাহীতে ১৩৫, টাঙ্গাইলে ১০৮, ফেনীতে ১০৬, বাঘাবাড়ীতে ১০৪, কুমারখালীতে ১০২ মিলিমিটারসহ দেশের সব অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এ সময়ে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ৩৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বান্দরবানে ২৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময়ে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।