সমন্বিত ব্যবস্থার মাধ্যমেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব : পবা
সমন্বিত ব্যবস্থার মাধ্যমেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ)সাগর-রুনি মিলনায়তনে রোববার সকালে ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান ও করণীয়’ শীর্ষক সভায় ডা. লেলিন চৌধুরী একথা বলেন। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও বারসিক যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করে।
সভায় পবার সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান ময়নার সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পবার নির্বাহী সভাপতি বিশিষ্ট জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী।
সভায় লিখিত বক্তব্যে ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, এডিস মশাবাহিত সংক্রামক ভাইরাসজনিত রোগ হচ্ছে ডেঙ্গুজ্বর। এডিস মশার আবাসিক ধরন (এডিস ইজিপ্টাই) এবং বন্য ধরন (এডিস অ্যালবোপিক্টাস) দ্বারা ডেঙ্গু ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। সাধারণ সময়ে আবাসিক এডিস ডেঙ্গু ছড়ায় তবে মহামারির সময়ে বন্য এডিস ডেঙ্গুর বাহকে রূপান্তরিত হয়। ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি ধরন। এগুলো হচ্ছে- ডেন-১, ডেন-২, ডেন-৩ এবং ডেন-৪। সাধারণভাবে ডেঙ্গু বর্ষা মৌসুমের একটি শহুরে অসুখ। কিন্তু বাংলাদেশে ২০১৯ সালের মহামারির মধ্য দিয়ে ডেঙ্গু সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং মৌসুমি রোগ থেকে সাংবাৎসরিক রোগে রূপান্তরিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে ডা. লেলিন চৌধুরী আরও বলেন, ডেঙ্গু সাধারণত বর্ষাকালে হয় এবং এখন বর্ষাকাল চলমান। সারা দেশে মশা নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ এবং কার্যকর পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়। সবাই এখন আতঙ্কে রয়েছে। একটু জ্বর হলে মানুষ ভয় পেয়ে যাচ্ছে। এখন থেকেই যদি ডেঙ্গু প্রতিরোধে জোরালো ও সমন্বিত পদক্ষেপ না নেয়া হয়, তা হলে ভবিষ্যতে আরও মারাত্মক আকার ধারণ করবে।
সভায় সূচনা বক্তব্য দেন ও সঞ্চালনা করেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর সাধারণ সম্পাদক মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন। সভায় আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ডা. বে-নজির আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক, পরিবেশ বিষয়ক লেখক ও গবেষক এবং বারসিক-এর পরিচালক পাভেল পার্থ।