‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে এলডিপির সমর্থন
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। গতকাল বুধবার (১৭ জুলাই) রাতে দলটির চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম এক বিবৃতিতে এ সমর্থনের কথা জানান।
বিবৃতিতে কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, ‘আমি একজন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের কবল থেকে দেশকে রক্ষা করা। নিজেদের কোনো কিছু পাওয়ার আশায় নয়। বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধদের নাম ব্যবহার করে লাখ লাখ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সৃষ্টি করেছে। এরা সবাই ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং তাদের আত্মীয়-স্বজন। বাকশালী শাসন পাকাপোক্ত করার জন্য কোটার আড়ালে তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের ছেলে-মেয়েকে চাকরিতে নিয়োগ দিয়ে যাচ্ছে। দেশের আনুমানিক নিরীহ ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষের মেধাবী ছেলে-মেয়েদের সমাজে বৈষম্য দূর করা এলডিপির প্রধান লক্ষ্য। আমরা সুশাসন প্রতিষ্ঠা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করণে বদ্ধপরিকর।’
অলি আহমদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ ও সশস্ত্র ছাত্রলীগের হিংস্র আক্রমণে সাতজন শহীদ হয়েছেন। এ ছাড়াও আজও আন্দোলনরত সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ওপর র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও সোয়াতের ব্যাপক হামলায় অনেকে আহত হয়েছেন। এই ন্যাক্কারজনক রক্তাক্ত ঘটনায় সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা কর্মসূচিতে আমরা পূর্ণ সমর্থন দিয়ে আসছি। এরশাদবিরোধী আনদোলনেও বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বৈরশাসক এরশাদ এত নিপিড়ন বা নির্যাতন করে নাই। অবৈধ আওয়ামী সরকার ছাত্র লীগ, যুবলীগের অস্ত্রধারী পেটোয়া বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর নির্যাতন এবং ছাত্রীদের ওপর অমানবিক নিপীড়ন মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিকেল বেলা হল বন্ধ ঘোষণা দিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে। আমাদের সবার উচিত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো। কারণ, তারাই আমাদের আগামীর নেতা।’
কর্নেল (অব.) অলি আরও বলেন, ‘সরকারের কাছে আশা করছি, ছাত্রদের ওপর গুলি চালানো বন্ধ করেন। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার ব্যবস্থা নিন। আমরা এলডিপির পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে যথাযথ মর্যাদা দিচ্ছি এবং ১৮ জুলাই সারা দেশে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে সর্বাত্মক সমর্থন জানাচ্ছি।’