নরসিংদী কারাগারে হামলায় সরাসরি জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে : সিটিটিসি
নরসিংদী কারাগারে হামলায় সরাসরি জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান। গতকাল বুধবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যেই গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সংলগ্ন নরসিংদীর জেলা কারাগারে নজিরবিহীন হামলার সময় (অস্ত্রাগার) ভেঙে অস্ত্র ও গুলি লুট করা হয়। জেল সুপার ও জেলারসহ ঊর্ধ্বতন কারা সদস্যদের জিম্মি করা হয়। হামলাকারীরা কারা অভ্যন্তরে ঢুকে বন্দিদের মুক্ত করে দ্রুত বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলে কারাগারে থাকা বন্দিরা পালিয়ে যায়। এর মধ্যে ৯ জঙ্গিও ছিল। সেখান থেকে পালানো ৯ জঙ্গির মধ্যে শীর্ষ দুই নারী জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।’
নরসিংদী জেল থেকে পলাতক (অপারেশন গর্ডিয়ান নট এর সাথে যুক্ত) শীর্ষ দুই জঙ্গি হলেন ইশরাত জাহান মৌসুমী মৌ (৩০) ও খাদিজা পারভীন মেঘলা ওরফে মেঘনা (৩১)। বুধবার ভোরে সিটিটিসির চিরুনি অভিযানে ঢাকার মিরপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিট ২০১৮ সালে নরসিংদীর শেখেরচড়ে দুটি বাড়িতে অপারেশন গর্ডিয়ান নট অভিযান চালায়। অভিযানে দুজন নিহত হয়। এই দুই নারী জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুজনেই বেসরকারি মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভাসিটির শিক্ষার্থী ছিলেন। এই দুই জঙ্গিই নরসিংদী জেলে সাজা ভোগ করছিলেন। কারাগারের হামলার সুযোগে দুজনই জেল হতে পালান। আমরা খবর পাওয়ার পর তাদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা শুরু করি। কারণ, পালানো কয়েদিদের মধ্যে ৯ জঙ্গি ছিল। তাদের মধ্যে দুই জঙ্গি ছিল অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। আন্দোলনের নামে জামায়াত-বিএনপি তাদেরকেও জেল থেকে পালাতে বা ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করে। সিটিটিসি দুই নারী জঙ্গির অবস্থান শনাক্তের পর বুধবার ভোরে মিরপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।’
সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘আরও সাত জঙ্গি পলাতক রয়েছেন, তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। শিগগিরই তাদের গ্রেপ্তার করতে পারব।’