ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে ২৩ বছর চাকরি, অবশেষে দুদকের মামলা
বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) এম এম জামিল আহম্মদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদ দেখিয়ে সন্তানের কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগে এ মামলা করেছে সংস্থাটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকেলে দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক এই মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, এম এম জামিল আহম্মদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের কোটায় বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনে ২০০০ সালের ১৭ এপ্রিল নিয়োগ পান। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন তিনি।
এর আগে ১৯৯৯ সালের ২৯ জুলাই দৈনিক ভোরের কাগজে নিয়োগের বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। সেখানে উল্লেখ ছিল, এ নিয়োগ শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য এই নিয়োগ সংরক্ষিত। এ পদের জন্য জামিল আহম্মদ আবেদন করেন। কিন্তু সেসময় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের কোনো সনদ তিনি জমা দেননি। নির্ধারিত সময়ের পর প্রতারণার মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে মুক্তিযোদ্ধা সনদ সংগ্রহ করে জমা দেন তিনি।
দুদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধার সম্মানি ভাতা, ভারতীয় তালিকা, লাল মুক্তি বার্তা, বেসামরিক গেজেটের কোথাও তার পিতা মৃত আকমান উদ্দিনের নাম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত নেই। দুদকের দীর্ঘ তদন্তেও জামিল আহম্মদের পিতার নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় পাওয়া যায়নি বলে জানানো হয়।
চাকরিকালীয় সময়ে বেতন-ভাতা বাবদ মোট এক কোটি ৩১ লাখ ৭৬ হাজার ৭৩৪ টাকা উত্তোলন করেন জামিল আহম্মদ। যা দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) এর ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।