অসহযোগ আন্দোলন : সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, নিহত ১১
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটেছে। এ ঘটনায় আজ রোববার দুপুর ২টা পর্যন্ত সারা দেশে নয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
মারা যাওয়াদের মধ্যে রংপুরের ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারাধন রায় হারা ও যুবলীগকর্মী খসরু মিয়াসহ চারজন, মুন্সীগঞ্জে দুজন, মাগুরায় ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান রাব্বি, কুমিল্লায় একজন ও বগুড়ায় একজন নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন শতাধিক।
আমাদের রংপুর প্রতিনিধি জানান, রংপুরের ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারাধন রায় হারা ও যুবলীগকর্মী খসরু মিয়াসহ চারজন মারা গেলেও বাকি দুজনের পরিচয় জানা যায়নি। তাঁদের বয়স ২২ থেকে ২৫ বছর। রংপুরের কোথাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা যায়নি। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিতে এসে তাড়া উল্টো তাদের হামলার শিকার হন বলে প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা গেছে।
কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আব্দুর রাজ্জাক রুবেল (৩৩) নামের একজন নিহত হয়েছেন। তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। দেবিদ্বার পৌরসভার আজগর আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে আজ দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রুবেল দেবীদ্বার পৌরসভার বারেশ্বর এলাকার ইউনুস মিয়ার ছেলে।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মাগুরা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মাগুরায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসানসহ দুজন নিহত হয়েছেন। মেহেদী হাসানের বাড়ি পৌরসভার পারনান্দুয়ালী এলাকায়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পারনান্দুয়ালী এলাকায় সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। আজ রোববার সকাল পৌনে ১০টা থেকে দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বগুড়ায় মনির (২১) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) নুরুজ্জামান ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।