নগরীর শৃঙ্খলা-পরিচ্ছন্নতায় ব্যস্ত শিক্ষার্থীরা
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশজুড়ে বয়ে যায় আনন্দের বন্যা। শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার ঘোষণা শোনা মাত্রই রাস্তায় নেমে পড়েন কোটি জনতা। উল্লসিত জনতার উপস্থিতিতে রাজধানীর সংসদ ভবন ও গণভবন রীতিমতো পরিণত হয় বিনোদনস্থলে। কেউ কেউ সেখান থেকে মালামাল নিয়ে ঘরে ফেরেন। রাতভর বিভিন্ন স্থানে পুরাতন ক্ষোভ মেটান অনেকে। বিভিন্ন স্থানে চলে ভাঙচুর। অনেক জেলা থেকে মেলে নিহতের খবর। এমন এক পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত পুলিশ ও প্রশাসনের সদস্যরা কর্মক্ষেত্রে নেই। ফলে নগরীর শৃঙ্খলা-পরিচ্ছন্নতায় নেমে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এখন এতেই ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের এমন কর্মকাণ্ডে খুশি নগরবাসী। তাদের নির্দেশনা মেনে সড়কে চলছে যানবাহন। অনেকেই বলছেন, যাদের মাধ্যমে পুরো দেশ নতুনভাবে স্বাধীনতা পেল তারাই রাস্তায় নেমেছেন দেশের সম্পদ রক্ষায়। এটা অন্যরকম একটি আনন্দের বিষয়।
আজ মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন স্থান পরিষ্কার করতে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া রাস্তাঘাটে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীরা না থাকায় ট্রাফিকের ভূমিকাতেও দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। রাজধানীর বিজয় স্বরণী, মিরপুর-১০-সহ বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছিলেন শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে, অনেক রাস্তাঘাট ঝাঁড়ু দিতে নামেন ছাত্র-ছাত্রীরা। থানার সামনে পোড়া ময়লা পরিষ্কার করেন তারা। তাদের সহযোগিতা করেন স্থানীয় অভিভাবকরা। আজ দুপুর থেকে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনের সড়কে পড়ে থাকা ময়লা-আবর্জনা, ইটের টুকরো, পুড়ে যাওয়া জিনিসপত্রও পরিষ্কার করতে দেখা যায়।শুধু রাজধানী নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানেই দেখা যায় এমন চিত্র। গনভবন-সংসদভবন পরিষ্কার করেন একাদিক শিক্ষার্থী। আরেকদল ব্যস্ত থাকেন রাস্তাঘাটে। রাজশাহীর বিভিন্ন নগরীতেও দেখা যায় একই চিত্র। রাজশাহীর তালাইমারী মোড়, জাদুঘর মোড়, সিএন্ডবিসহ কয়েকটি এলাকায় সড়ক পরিষ্কার করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের এই পরিষ্কার কর্মসূচির কয়েকটি ছবি ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অনেকেই বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা দেশের স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে পারবেন বলেও বিশ্বাস দেশবাসীর।