দক্ষিণ কোরিয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ফলে বাংলাদেশে দ্রুতই শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে আশা প্রকাশ করছে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার।
দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়সহ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে ছিল ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাকি উপদেষ্টাদের মধ্যে সালেহউদ্দিন আহমেদ অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আসিফ নজরুল আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, আদিলুর রহমান খান শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রিজওয়ানা হাসান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, নাহিদ ইসলাম ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ফারুকী আজম মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।
এ ছাড়া হাসান আরিফ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়, মো. তৌহিদ হোসেন পররাষ্ট্র; শারমিন এস মুরশিদ সমাজকল্যাণ, সুপ্রদীপ চাকমাকে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক, ডা. বিধানরঞ্জন রায় পোদ্দার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, আ ফ ম খালিদ হোসেন ধর্ম, ফরিদা আখতারকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, নুরজাহান বেগম স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।
আর নতুন উপদেষ্টাদের মধ্যে ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদকে পরিকল্পনা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি মন্ত্রণালয়, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাংগীর আলম চৌধুরীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।