অভ্যুত্থানের পর গিনি-বিসাউয়ের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টের শপথ
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনি বিসাউয়ে সামরিক অভ্যুত্থানের একদিন পর সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জেনারেল হোর্তা ইন্তা-এ কে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ করানো হয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সামরিক সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর সাবেক চিফ অফ স্টাফ (সেনাপ্রধান) জেনারেল ইন্তা-এ এই পদে শপথ নেন। এর আগে গত বুধবার (২৭ নভেম্বর) সামরিক কর্মকর্তারা ক্ষমতা দখলের ঘোষণা দেয়। খবর আলজাজিরার।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ইন্তা ঘোষণা করেন, ‘আমি সবেমাত্র উচ্চ কমান্ডের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য শপথ নিয়েছি। এই সামরিক অভিযান পরিচালনার ন্যায্যতা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া এবং গুরুত্বপূর্ণ সকলের অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
অভ্যুত্থানের ফলে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া প্রেসিডেন্ট উমারো সিসোকো এমবালোর ঘনিষ্ঠ ছিলেন জেনারেল ইন্টা-এ। বুধবার তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সামরিক কর্মকর্তারা নিজেদের ‘হাই মিলিটারি কমান্ড ফর দ্য রেস্টোরেশন অফ অর্ডার’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল। একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট এমবালোকে গ্রেপ্তারের খবর জানিয়েছিলেন। তবে সেনেগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, আঞ্চলিক জোট ইকোয়াসের হস্তক্ষেপে প্রেসিডেন্ট এমবালোকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি বিশেষ ফ্লাইটে সেনেগালে পৌঁছেছেন।
এই সামরিক ক্ষমতা দখল এমন এক সময়ে ঘটল যখন দেশটিতে নির্বাচন চলমান। গত রোববার (২৩ নভেম্বর) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচনের ফল প্রকাশের কথা ছিল।
সেনেগাল ও গিনির মাঝখানে অবস্থিত গিনি-বিসাউ স্বাধীনতার পর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, রাজনীতিতে সামরিক হস্তক্ষেপ এবং মাদক চোরাচালানের জন্য পরিচিত। ১৯৭৪ সালে পর্তুগালের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর দেশটিতে অভ্যুত্থান ও অভ্যুত্থানচেষ্টা হয়েছে অন্তত ৯ বার।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক