গিনি-বিসাউয়ে সামরিক অভ্যুত্থান, প্রেসিডেন্ট গ্রেপ্তার
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনি-বিসাউয়ে সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দেশটির একদল সেনা কর্মকর্তা ক্ষমতা দখলের ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে তারা জানিয়েছেন, দেশের প্রেসিডেন্ট উমারো সিসোকো এমবালোকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খবর আলজাজিরার।
রাজধানী বিসাউয়ে নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তর ও প্রেসিডেন্ট প্যালেসের কাছে একটানা গোলাগুলির শব্দ শোনার কিছুক্ষণ পরই এই ঘোষণা আসে। সামরিক কর্মকর্তারা নিজেদের ‘হাই মিলিটারি কমান্ড ফর দ্য রেস্টোরেশন অফ অর্ডার’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে টেলিভিশনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন।
বিবৃতিতে সেনা কর্মকর্তারা অবিলম্বে নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থগিত, সব স্থল, আকাশ ও সমুদ্র সীমান্ত বন্ধ এবং সারা রাত কারফিউ জারির নির্দেশ দেন। অভ্যুত্থানের নেতারা জানিয়েছেন, অজ্ঞাত কয়েকজন রাজনীতিক এবং তাদের পেছনে থাকা ‘একজন পরিচিত মাদক চোরাকারবারির’ সহায়তায় দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র হচ্ছিল। একই সঙ্গে নির্বাচনের ফল নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হচ্ছিল, তা সামাল দিতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, শুধু প্রেসিডেন্ট এমবালো নন, প্রধান বিরোধী দলের নেতা ডোমিঙ্গোস সিমোয়েস পেরেইরাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় ইকোয়াস এবং জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত সাংবিধানিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছে।
সেনেগাল ও গিনির মাঝখানে অবস্থিত গিনি-বিসাউ স্বাধীনতার পর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, রাজনীতিতে সামরিক হস্তক্ষেপ এবং মাদক চোরাচালানের জন্য পরিচিত। ১৯৭৪ সালে পর্তুগালের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর দেশটিতে অভ্যুত্থান ও অভ্যুত্থানচেষ্টা হয়েছে অন্তত ৯ বার।
সংবাদমাধ্যম বলছে, দেশটিতে গত রোববার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচনের ফল প্রকাশের কথা ছিল। এমবালো ও তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ফার্নান্দো দিয়াস— দুজনই নিজেদের বিজয়ী বলে দাবি করেছিলেন। দিয়াসকে সমর্থন দিচ্ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডোমিঙ্গোস পেরেইরা।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক