সিরাজগঞ্জে সাবেক এমপিসহ ৭০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সিরাজগঞ্জে কলেজছাত্র শিহাব হোসেন (১৯) হত্যার ঘটনায় সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডলসহ ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামাসহ ৫০০ থেকে ৭০০ জনকে আসামি করা হয়ছে। এনায়েতপুর থানায় মামলা নম্বর ২/২০২৪।
এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসিবুল্লাহ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল সোমবার (১৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এনায়েতপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মো. সোলায়মান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৪ আগস্ট এনায়েতপুর থানার খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি আল হেরা মার্কেটের সামনে পৌঁছালে সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডলসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা পিস্তল, ককটেল, লোহার রড, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলা চালায়। হামলায় অনেক ছাত্র আহত হয়। গুলিতে আহত হয় কলেজছাত্র শিহাব হোসেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত কলেজছাত্র শিহাব হোসেনের পরিবারের অনুমতিক্রমে মামলাটি করা হয়েছে বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের বাসিন্দা শিহাব সিরাজগঞ্জ সরকারী কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
মামলায় আব্দুল মমিন মন্ডল ছাড়াও তার ভাই আব্দুল আলীম মন্ডল, বেলকুচি পৌরসভার মেয়র ও সাবেক যুবলীগ নেতা সাজ্জাদুল হক রেজা, চৌহালী উপজেলার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জাহিদ, এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহম্মদ মোস্তফা খান বাচ্চু, সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদুল ইসলাম সিরাজ, এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বিএসসি, বেলকুচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম, চৌহালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাজ উদ্দিন, চৌহালী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক বাবুল আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর রহমান চুন্নু তালুকদার, বেলকুচি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রকিসহ ৫০০ থেকে ৭০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী মো. সোলায়মান বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলন নসাৎ করতেই সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডলের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় প্রায় শতাধিক ছাত্র-জনতা আহত হয়। গুলিতে নিহত হয় শিহাব। শিহাবের বাবার অনুমতি নিয়েই আমি মামলাটি দায়ের করেছি।’