পারিবারিক বিরোধে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে অতর্কিত হামলা, আহত ৬
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পূর্বশত্রুতা ও পারিবারিক বিরোধের জের ধরে চোখে মরিচেরগুঁড়া ছিটিয়ে একটি পরিবারের ওপর সংঘবদ্ধ হামলা ও বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় দুই অন্তঃসত্ত্বা মহিলা, শিশুসহ ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (২৫ আগস্ট) দিনগত রাত ৮টার দিকে উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের তারাইল ঈশ্বরদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ সোমবার (২৬ আগস্ট) সকালে ভুক্তভোগী ভাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানার অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, তারাইল ঈশ্বরদী গ্রামের হবি শেখের সাথে একই গ্রামের প্রতিপক্ষ দেলোয়ার চৌধুরীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ ও শক্রতা চলে আসছিল। গত শুক্রবার বিকেলে দেলোয়ার ও তার সহযোগী রাকিব মোড়ল হবি শেখের ওপর হামলা চালায়। ঐদিন রাতেই হবি শেখ বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়ের করায় ক্ষিপ্ত হয়ে রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে আবারো প্রতিপক্ষ দেলোয়ার চৌধুরী, রাকিব মোড়লসহ তার লোকজন হবি শেখের পরিবারের ওপর মরিচেরগুঁড়া ছিটিয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে।
হামলায় আহতরা হলেন হবি শেখ (৬০) তার স্ত্রী হাফিজা বেগম (৫০), অন্তঃসত্ত্বা দুই মেয়ে সুইটি আক্তার (২৪) ও সাথী আক্তার (২৬), সদ্যসন্তান প্রসব করা আরেক মেয়ে ময়না বেগম (২২) ও নাতিন ছামিরা আক্তার (৬)। আহতরা ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হবি শেখ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর তারা ক্ষিপ্ত হয়ে দেলোয়ারের ভাড়াটে সন্ত্রাসী উপজেলার গোয়ালদী গ্রামের রাকিব মোড়ল ও সহযোগী ৭-৮ জন সংঘবদ্ধ হয়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘরে ঢুকে মরিচেরগুঁড়া চোখে ছিটিয়ে দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও হামলা চালিয়ে আহত করে এবং ঘর দরজা ভাঙচুর চালিয়ে লুটপাট করে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে আহত অন্তঃসত্ত্বা সুইটি আক্তার জানান, আমার পরিবারের উপর নারকীয় হামলা চালায় তারা। আমরা ২ বোন অন্তঃসত্ত্বা সত্ত্বেও তারা ক্ষান্ত হয়নি। আমরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর রাতেই হাসপাতালে রাকিবসহ পুনরায় সংঘবদ্ধ হয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে এক পর্যায়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার এসআই রাকিব জানান, হামলার ঘটনায় একটা অভিযোগ পেয়েছি। হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজখবর নিয়েছি। তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।