শিক্ষার্থীকে হত্যার পর মরদেহে আগুন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা
ঢাকার আশুলিয়ায় সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মো. সাজ্জাদ হোসেন সজলকে (১৯) গুলি করে হত্যার পর তার মরদেহ আগুন দিয়ে পোড়ানোর অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলার করা হয়েছে।
আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) ঢাকার সিনিয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে নিহতের ভাই মিজানুর রহমান এ মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আশুলিয়া থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—সাবেক সাবেক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আব্দুল্লাহ আল-মামুন, ডিএমপির সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ, যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার ও ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আবেদন থেকে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানাধীন বাইপাইলে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে মিছিল করছিলেন। সেই আন্দোলন দমনের জন্য পুলিশ নির্বিচারে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালায় এবং গ্রেপ্তার করে। ওই সময় সিটি ইউনিভার্সিটির বিএসসি (টেক্সটাইল) দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র মো. সাজ্জাদ হোসেন সজলকে (১৯) আটক করে থানায় নিয়ে অমানবিক নির্যাতনের পর পুলিশ গুলি করে মেরে ফেলে। পরে তার মরদেহ ধ্বংস/গুম/নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্যে আরও অজ্ঞাতনামা সাত-আটজন আশুলিয়া থানার সামনে রাস্তার ওপর রাখা পুলিশের ব্যবহৃত লেগুনায় থাকা সজলের মরদেহসহ অন্য ছাত্রদের মরদেহ পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়।