সাভারে শেখ হাসিনা-রেহানাসহ ৩৩০ জনের বিরুদ্ধে আরেক মামলা
ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানাসহ ৩৩০ জনকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ নিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাভার থানাতেই হত্যা মামলা হলো ১৪টি ।
আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে আরিফুর রহমান রাসেল (৩২) নামে এক ছাত্রদলনেতাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তার ভাই সাইদুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। মামলার বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিয়া।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পরের যোগসাজশে অস্ত্র নিয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা, মারধর ও গুলিবর্ষণ করে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। নিহত আরিফুর রহমান রাসেল বরিশাল জেলার কোতয়ালি থানার পশ্চিম কাউনিয়া মহল্লায় খলিলুর রহমানের ছেলে। তিনি ছিলেন ঢাকা মহানগর (পূর্ব) ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। পাশাপাশি ধানমণ্ডিতে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ফার্মেসিতে কাজ করতেন।
শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা ছাড়াও মামলায় অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন–আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এবং সাবেক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এবং সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, সাভার পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল গনি, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ, মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পী ও সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আরিফুর রহমান রাসেল স্ত্রী ও দেড় বছর বয়সী মেয়ে রাইসা রহমানকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন সাভারের দেওগাঁ গ্রামে। সাভার থানা রোডে মুক্তির মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের যৌক্তিক দাবির পক্ষে একাত্মতা পোষণ করে আন্দোলনে যোগ দেন। শেখ হাসিনার পতন ও দেশত্যাগের খবরে জনতার সঙ্গে বিজয় মিছিল নিয়ে থানার দিকে অগ্রসর হলে বুকে ও কোমরে গুলিবিদ্ধ হন আরিফুর রহমান রাসেল। পরে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে তার মরদেহ বরিশালের বাকেরগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।