লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে এলডিপির পক্ষ থেকে ৮৩টি সুপারিশ করা হয়েছে। আজ শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।  

কর্নেল (অব.) অলি বলেন, এলডিপির পক্ষ থেকে আমরা ৮৩টি সুপারিশ করেছি। এগুলো দলীয় কোনো উপকারের জন্য না, রাজনৈতিক ফায়দার জন্য না। আমাদের ব্যক্তিগত কোনো সুবিধার জন্য না। স্বৈরাচারী সরকার অতীতে ছিল। ফ্যাসিবাদী কায়দায় পরিচালিত হতো। জনগণের মানবাধিকার ছিল না, স্বাধীনতা ছিল না।

অলি আহমেদ বলেন, পাঠ্যপুস্তকে যতগুলো ধর্মবিরোধী লেখা গল্প আছে, সেগুলো সব বাদ দিতে হবে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকে অনুরোধ করব, নিজের স্বার্থ ভুলে যান, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা ভুলে যান। দেশের মানুষের কথা চিন্তা করেন, সে পরিকল্পনা করেন। তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে আমি প্রথম সেনাবাহিনীতে বিদ্রোহী করি। শেখ মুজিব বিদ্রোহ করেনি। শেখ মুজিব পাকিস্তানের কাছে আত্মসমর্পণ করে চলে গিয়েছিল। 

অলি আহমেদ বলেন, এলডিপির পক্ষ থেকে আমরা ৮৩টি সুপারিশ করেছি। এগুলো কোনো রাজনৈতিক ফায়দা বা নিজেদের সুবিধার জন্য বলিনি। এর আগে ফ্যাসিবাদী কায়দায় সরকার পরিচালিত হয়েছে। মানুষ কথা বলার স্বাধীনতা পায়নি, ন্যায়বিচার পায়নি মানুষ। তিনি আরও বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য একটি পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ। এখনো আমরা বাংলাদেশকে চাঁদাবাজ মুক্ত করতে পারিনি। স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে দেশ, চাঁদাবাজমুক্ত হয়নি। এখনো কোর্ট-কাচারিতে ন্যায়বিচার হচ্ছে না। মানুষ ন্যায়বিচার না পেলে এ স্বাধীনতার কোনো দাম নেই।