এস কে সিনহার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৫ নভেম্বর
ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজউকের প্লট বরাদ্দ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন দুদক প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।
২০২১ সালের ১০ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করেন। মামলায় এস কে সিনহার বিরুদ্ধে নিজের ভাই ও আত্মীয়ের নামে ৭ কোটি ১৪ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন করে তা স্থানান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) থেকে উত্তরা আবাসিক এলাকায় নিজের নামে একটি প্লট বরাদ্দ নেন। পরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহার নামেও রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পে তিন কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ করান। এরপর প্রভাব খাটিয়ে তিন কাঠার প্লটটি পাঁচ কাঠায় উন্নীত করান। এক পর্যায়ে পূর্বাচলের প্লটটিকে উত্তরার চার নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর সড়কে (বাড়ি নম্বর ১/এ) স্থানান্তর করিয়ে রাজউকের অনুমোদন করান।
এছাড়া রাজউকের প্লটের মূল্য ৭৫ লাখ টাকা ও ভবনের নির্মাণ ব্যয় ৬ কোটি ৩১ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকাসহ সব মিলিয়ে ৭ কোটি ৬ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকা ব্যয় হয়। এর মধ্যে জনৈক খালেদা চৌধুরীর কাছ থেকে ভবনের একটি ফ্ল্যাট বিক্রির অগ্রিম ৭০ লাখ টাকা নেওয়া হয়। এ টাকা বাদে অবশিষ্ট ৬ কোটি ৩৬ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকা এবং আত্মীয় শঙ্খজিৎ সিংহের নামে একটি ব্যাংক হিসাবে স্থায়ী ও নগদে ৭৮ লাখ টাকা জমা পাওয়া গেছে বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ক্ষমতার অপব্যবহার করে মোট ৭ কোটি ১৪ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকার সম্পদ অর্জন করে ভাই ও আত্মীয়ের নামে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করেন। এ সম্পদ অর্জনের বৈধ কোনো উৎস নেই এবং তা তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।