ঘোষণা দিয়েও আশুলিয়ায় অভিযান চালায়নি যৌথবাহিনী
সাভার ও আশুলিয়ার শিল্পকারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি অস্থিরতায় ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও শিল্প পুলিশের যৌথ অভিযান শুরুর নির্দেশনা দেওয়া হলেও সেরকম কোনো অভিযান হয়নি। তবে আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও শিল্প পুলিশের সতর্ক টহল দেখা গেছে। ঝুম বৃষ্টিতে কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও কোমরসমান পানি। এ অবস্থায় কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা।
শিল্পাঞ্চলে বেশ কয়েকদিন ধরেই বেতন বৈষম্যসহ বিভিন্ন কারণে অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছিল। ব্যহত হচ্ছিল কারখানার উৎপাদন। এমন প্রেক্ষাপটে গতকাল সোমবার তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতারা বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে।
বৈঠক শেষে শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টিতে ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনার কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। সোমবার রাত থেকেই সেনাবাহিনী, পুলিশ ও শিল্প পুলিশের সমন্বয়ে সেই যৌথ অভিযান শুরুর কথা থাকলেও আদতে তা হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম।
বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শ্রমিক ও শ্রমিকনেতাদের কোনো ধরনের হয়রানি না করতে আমরা বিশেষভাবে অনুরোধ করেছি। তবে কেন অভিযান হয়নি সেটা তারাই ভালো বলতে পারবে।’
বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল রাকিব জানান, এটা নিশ্চিত অস্থিরতার পেছনে বিশেষ একটি গোষ্ঠীর ইন্ধন রয়েছে। আমরা দেখেছি, শ্রমিকদের সঙ্গে লুঙ্গি পরা, হেলমেটধারী অনেককে। তারাই কারখানা ভাঙচুর করছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন বলেন, ‘আমরা যখনই শ্রমিকেরা অধিকার নিয়ে কথা বলতে গিয়েছি, তখনই যৌথ অভিযানের মতো ভয়ভীতি, হামলা-মামলা দিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এসব করে সমস্যার সমাধান হবে। বল প্রয়োগ করে কখনও কারও অধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না। আমরা চাই, প্রয়োজনে প্রতিটি কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আলোচনা করুন।’
এসপি সারোয়ার আলম বলেন, ‘এসব সিদ্ধান্ত ওপরের বিষয়। কেন অভিযান হয়নি সেটা তারাই ভালো বলতে পারবেন। আপাতত আমরা শিল্পাঞ্চলের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছি।’
এসপি মোহাম্মদ সারোয়ার আলম আরও বলেন, শিল্পাঞ্চলে যাতে কেউ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।