সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তার পরিবারের ৩০০ কোটি টাকা দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার পরিবারের নামে ৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
পাশাপাশি সংস্থাটির অনুসন্ধানে আরও ২০০ কোটি টাকার বেশি মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটির অনুসন্ধান টিম। তার ও পরিবারের বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে আপাতত ৩০০ কোটি টাকার বেশি দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। যার মধ্যে ব্যাংকের নগদ অর্থ, ঢাকায় ফ্ল্যাট ও জমি রয়েছে।
অনুসন্ধানে তাদের ব্যাংক হিসাবেই শত কোটি টাকার বেশি অর্থের সন্ধান মিলেছে। আর দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান, ছেলে শাফি মোদাচ্ছের খান, মেয়ে সোফিয়া তাসনিম খান ও সহকারী একান্ত সচিব মনির হোসেনকে আসামি করে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
চলতি সপ্তাহের যে কোনো দিন কমিশনের অনুমোদনক্রমে মামলা করা হতে পারে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার পরিবারসহ ওই পাঁচজনের বাইরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম, মন্ত্রীর সাবেক পিএস অতিরিক্ত সচিব হারুন অর রশিদ বিশ্বাস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপুর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অনুসন্ধান চলমান আছে।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিস থেকে বস্তায় বস্তায় কোটি কোটি টাকা আদায় করা অভিযোগ ছিল। যার মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন কামাল-হারুন সিন্ডিকেট।
ইতোমধ্যে তার নামে থাকা ব্যাংক হিসাব ও আয়কর নথিসহ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন সে কারণে আদালতের অনুমতিক্রমে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তার স্ত্রী, দুই সন্তান এবং মন্ত্রীর পিএস, এপিএসসহ ওই ১০ ব্যক্তিকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলমের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই আদেশ দেয় আদালত।