বিচার বিভাগের সংস্কার চাইলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন
দ্রুতগতিতে বিচার বিভাগের সংস্কার চান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টে এক সংবাদ সম্মলনে তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে বিচার বিভাগ আওয়ামী লীগ সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল। অনেক বিচারক রাজনৈতিকভাবে বিচার করেছেন। আইনজীবী সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় দিয়েছেন। এদের অপসারণ করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি বলেন, ‘গত সরকারের আমলে অনেক ভালো বিচারক নিয়োগ পেয়েছেন। তাদের নিয়ে কোনো আপত্তি নাই। ৬০ থেকে ৬২ জন বিচারককে গুরুত্বপূর্ণ বেঞ্চ দেওয়া হয়নি। এদের পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এতো পর্যবেক্ষণ করার কিছু নাই। দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘নতুন বিচারক নিয়োগ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও পদক্ষেপ নেয়নি। বিচারক নিয়োগের কোন নীতিমালা করা হয়নি। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। অবশ্যই মেধাবী, সৎ ও যোগ্যদের বিচারক নিয়োগ করতে হবে।’
সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে ক্যানসার রোগী বানিয়ে জোর করে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে নেওয়া হয় সিনহার থেকে। এজন্য বিচার বিভাগে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছিল, যাতে কেউ সরকারের অনিয়মের বিরুদ্ধে কোনো আদেশ বা রায় না দেয়।’
মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘গত ১৬ বছরে দুদক কিছু দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এখন অনেক দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতির কথা মিডিয়ায় আসছে। গত ১৬ বছরে দুদক আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেনি। এটা এখন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হয়ে গেছে। দুদকের কৌঁসুলিরা এর সহযোগী। খুরশীদ আলম খান এখনো দুদকে রয়ে গেছেন৷ উনি খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিরোধিতা করেছেন। ওই আইনজীবীকে পদত্যাগ করতে হবে।’
গত সরকারের আমলে অসংখ্য বিরোধী নেতাকর্মীদের ক্রসফায়ারে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে খোকন বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে কত লোক মারা গেছে, তার সংখ্যা এখনও নিরূপণ করা হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত এই সংখ্যা প্রকাশ করা উচিত।
ব্যারিস্টার এম মাহবুব উদ্দিন খোকন আরও বলেন, ‘সাবেক আইনমন্ত্রী কোন কোন বিচারককে ফোন করে রায় ঘোষণায় প্রভাব বিস্তার করেছিলেন তার ফোন রেকর্ড প্রকাশ করা উচিত। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির রিপোর্ট এখনো প্রকাশ করা হয়নি। দেশের টাকা কারা চুরি করল, সেটা জনগণের জানা জরুরি।’