কিশোর মোতালেব হত্যায় শাজাহান খান কারাগারে
রাজধানীর ধানমণ্ডি থানা এলাকায় কিশোর আব্দুল মোতালেব (১৪) হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক নৌ পরিবহণমন্ত্রী শাজাহান খানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দার এই আদেশ দেন।
এদিন ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ডের মধ্যে শাজাহান খান অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এ সময় শাজাহান খানের পক্ষে তার আইনজীবী প্রাণনাথ জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নাকচ করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালত শাজাহান খানকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর দিনগত মধ্য রাতে ধানমণ্ডির একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
নথি আরও বলছে, শেখ হাসিনাসহ অন্য আসামিরা দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে দমনের জন্য আসামিদের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার ওপরে দমন-পীড়ন শুরু করার জন্য পুলিশ, র্যাব ও ১৪ দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত অন্যান্য বাহিনীসহ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বেআইনিভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে ঢাকাসহ সারা দেশে নিরীহ, নিরস্ত্র ছাত্রজনতার ওপর নির্বিচারে গুলি ও শারীরিক নির্যাতন চালায়। এতে শত শত ছাত্রজনতা মারা যায়। অনেক লোক আহত ও পঙ্গুত্ববরণ করেন। বাদীর ছেলে আব্দুল মোতালিব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। তিনি গত ৪ আগস্ট ধানমন্ডি থানা এলাকায় জিগাতলা বাসস্টান্ডের পশ্চিম পাশে পাকা রাস্তার ওপর ছাত্র ও সাধারণ জনতার সঙ্গে অবস্থানকালে বুকে ও গলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা আব্দুল মতিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে ধানমন্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এ ছাড়া মামলায় আরও অজ্ঞাত ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।