নওগাঁয় হত্যা মামলায় ২৬ আসামির যাবজ্জীবন

নওগাঁর মান্দা উপজেলার ২৬ বছর আগের আজিম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলার রায়ে ২৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরের পর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মোখলেছুর রহমান এই রায় দেন।
ওই মামলায় মোট অসামি ছিলেন ৩৪ জন। মামলা চলাকালে আট আসামির মৃত্যু হয়। রায় ঘোষণার সময় ২২ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। চারজন পলাতক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শামসুর রহমান জানিয়েছেন, ১৯৯৮ সালে জমিজমা সম্পর্কিত বিরোধের জেরে মান্দা উপজেলার ভরট্ট শিবনগর গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের ২ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় মান্দা উপজেলার ভরট্ট শিবনগর গ্রামের আজিম উদ্দিন (৫৫) বিবদমান জমিতে চাষ দেওয়ার জন্য গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন সংগঠিত হয়ে লাঠিসোটা, হাসুয়া ইত্যাদি নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালায়। ওই দিন সকাল সাড়ে ৭টায় ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। ওই দিন বেলা আড়াইটায় নিহত আজিম উদ্দিনের ছেলে মো. আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে মান্দা থানায় এই হত্যা মামলা করেন। মামলা তদন্ত শেষে মোট ৩৪ আসামির নাম উল্লেখ করে বিচারের জন্য আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ইতোমধ্যে আট আসামির মৃত্যু হয়েছে। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ দুপুরের পর বিজ্ঞ বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে ৩০২ ও ৩৪ ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২৬ আসামির বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
দণ্ডাদেশপাপ্ত আসামিরা হলেন মনছুর আলী, আলতাব হোসেন মণ্ডল, এনামুল হক, দেলোয়ার হোসেন, ফজের আলী, ফজলুর রহমান, কাদের আলী, জবেদ আলী, কাজেমুদ্দিন, ওহিদুল ইসলাম (রহিদুল), আছিব উদ্দিন, আনিছার রহমান, মোখলেছুর রহমান, কাশেম আলী মণ্ডল, লিয়াকত আলী প্রামানিক, মোখলেছুর রহমান, জালাল উদ্দীন, মোজাহার আলী ওরফে মোজাফ্ফর আলী, শাহাজাহান, ছাইদুর রহমান, পৈক্যা (বুলু), আজাদ আলী মৃধা, আশরাফুল মৃধা, কলিমুদ্দিন মণ্ডল, পটল ওরফে পরশ উল্যা প্রামানিক ও গুল মাসুদ ওরফে কালু।
এদের মধ্যে পলাতক আসামিরা হলেন মোখলেছুর রহমান, এনামুল হক, আনিছুর রহমান ও মোজাহার আলী।
রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি শামসুর রহমান এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম মামলাটি পরিচালনা করেন।