প্রশাসনকে প্রতিপক্ষ না বানিয়ে সহযোগিতা করুন : সমন্বয়ক লুৎফর রহমান
জামালপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক লুৎফর রহমান ছাত্রদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনারা সর্বস্তরের প্রশাসনকে প্রতিপক্ষ না বানিয়ে তাদের সহযোগিতা করুন।’
আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জামালপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভায় কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক লুৎফর রহমান এ কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক লুৎফর রহমান ছাত্রদের উদ্দেশে বলেন, ‘সরকারি অফিসে হানা দিবেন না, এটি করলে ছাত্রদের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের যে আস্থা, বিশ্বাস, ভালোবাসা জন্মেছে সেটি বিনষ্ট হবে। আর ছাত্রদের থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলা মানে, বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলা।’
লুৎফর রহমান আরও বলেন, ‘এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কেউ অপকর্ম করার চেষ্টা করবেন না। তাহলে আপনাদের বিরুদ্ধে আবার ছাত্র-জনতা নামবে।’
সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ মাঠে গণঅভ্যুত্থানের প্রেরণায় শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ, দেশ পুনর্গঠন, রাষ্ট্রসংস্কার, ঐক্য প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এই ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তৌহিদ মাহমুদ সিয়াম, আহনাফ সাঈদসহ স্থানীয় সমন্বয়করা বক্তব্য দেন।
এদিকে, ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভার শেষের দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে রাফিউল ইসলাম চাকলাদার (২২), সাজ্জাদ হোসেন (২২) ও তাসনীম জাহান (২১) নামে তিন শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এরপর আহত শিক্ষার্থীরা রাতে হামলার প্রতিবাদে জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় আহত শিক্ষার্থী রাফিউল ইসলাম চাকলাদার, সাজ্জাদ হোসেন ও তাসনীম জাহান অভিযোগ করেন, মতবিনিময় সভা চলাকালে কলেজ ক্যাম্পাসে বসে থাকা অবস্থায় আল মারুফ শুভ নামে একজন আমাদের কাছে জানতে চায় কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা কি আজ কমিটি দিবে কি না। আমরা এ বিষয়ে কিছু জানি বলে তাকে জানাই। এরপর মারুফ আল শুভর নেতৃত্বে ১৪ থেকে ১৫ জনের একদল দুর্বত্ত আমাদের সঙ্গে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তি শুরু করে। এর একপর্যায়ে তারা হামলা শুরু করে ও রাফিউল ইসলাম চাকলাদরের মাথায় ধারালো ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে। এ ছাড়া সাজ্জাদ হোসেন ও তাসনীম জাহানকেও তারা আহত করে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন আহত শিক্ষার্থীরা।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থী, আহত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।