গত ১৬ বছরে দেশ থেকে বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। পাচার হওয়া এসব অর্থ ফেরত আনতে সফররত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

আজ রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা জানান অর্থ উপদেষ্টা।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে আমাদের মূল আলোচনা ছিল আর্থিক সংস্কার ও আর্থিক খাতে সহযোগিতা নিয়ে। দ্বিতীয়টি ছিল বাণিজ্য। আমরা এক্সপোর্ট ডাইভারসিফিকেশন (রপ্তানি বহুমুখীকরণ) এবং বাণিজ্য খাতে বিভিন্ন কারিগরি সহায়তা বা বাজার বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগোবো, তারা সে ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।’

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগের চুক্তির সঙ্গে আরও ২০ কোটি ডলার যোগ করা হয়েছে। আগে যা ছিল, তার সঙ্গে এটি যুক্ত হয়েছে। এ বাড়তি অর্থ তারা দেবে।’

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সহযোগিতা চেয়েছেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এগুলো সব আলাপ হয়েছে। পরে আরও বিস্তারিত আলোচনা হবে।’

এদিকে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের নব উদ্যমে প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়াকে আমরা পৃষ্ঠপোষকতা করব। এ লক্ষ্যে শীর্ষ অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলাপে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও টেকসই উন্নয়নকে ঘিরে তাদের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টাকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে আমাদের সম্পৃক্ততার বিষয়গুলো আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে।’