সিজিআইয়ের অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মঞ্চে ‘অনুপ্রবেশকারী’!
নিউইয়র্কে ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ লিডারস স্টেজ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিতে মঞ্চে ডেকে নেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে গত মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ওই অনুষ্ঠানে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের উপস্থিতিতে ড. ইউনূসের ডাকে মঞ্চে ওঠেন তার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা তিথি। এ সময় তাদের সঙ্গে মঞ্চে উঠে পড়েন জাহিন রোহান রাজিন নামে আরেক ব্যক্তি।
মাহফুজ আলম ও আয়েশা সিদ্দিকা তিথি প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীর তালিকায় থাকলেও এতে রাজিনের নাম নেই। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে রাজিনের নাম না নিয়ে তাকে ‘অনুপ্রবেশকারী’ উল্লেখ করে ফেসবুকে একটি পোস্টে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন মাহফুজ আলম।
ফেসবুক পোস্টে মাহফুজ আলম লেখেন, ‘সিজিআই ইভেন্ট ও অনুপ্রবেশকারী লোক সম্পর্কে একটি স্পষ্টতা! সিজিআই ইভেন্টের লোকটা একজন অনুপ্রবেশকারী এবং অসাধু লোক ছিলেন। নিজ থেকে তিনি সিজিআই ইভেন্টে যোগ দিয়েছেন। তার উপস্থিতি ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমাদের এবং সেখানকার প্রতিনিধি দলের সদস্যদের জানা ছিল না। তিনি প্রতিনিধি দলের কারও সঙ্গে আগে যোগাযোগও করেননি।’
মাহফুজ আলম আরও লেখেন, ‘স্যার (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) যখন আমাদের স্টেজে ডাকেন, তখন তিনি তাড়াহুড়া করে দাঁড়িয়ে আমাদের আগে স্টেজের দিকে দৌড়ে যান। আমি ওই লোকটাকে স্টেজে যাওয়া থেকে বিরত করতে পারলাম না, যদিও আমি সন্দিহান ছিলাম। বিশ্বনেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মাঝে আমি আবারও অসহায় হলাম।’
‘মনে হচ্ছে, এটা ছিল ফ্যাসিস্টদের পূর্বপরিকল্পিত নাশকতার কাজ। আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানের নেতা, সমন্বয়কারী ও যোদ্ধাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা আগামী দিনে গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধিত্ব সম্পর্কে খুব সতর্ক থাকব’, যোগ করেন মাহফুজ আলম।
জানা গেছে, জাহিন রোহান রাজিন আওয়ামী সমর্থক ব্যবসায়ী রবিনটেক্স গ্রুপের মালিক আবুল খায়ের মো. সাখাওয়াতের ছেলে। তিনি হাইড্রোকো প্লাসের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি সংবাদমাধ্যমে সিজিআই ফেলো হিসেবে ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন বলে দাবি করেন।