তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, আতঙ্কে নদী পারের হাজারো মানুষ
উজানের ঢল আর টানা বৃষ্টিতে রংপুর, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমারসহ বিভিন্ন নদ-নদীর, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে পানিবন্দি উত্তরাঞ্চলের কয়েক জেলার নিম্নাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। এদিকে, পানির চাপ সামলাতে তিস্তার ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।
ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে। টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তাসহ অন্যান্য নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে লালমনিরহাটে। পাঁচ উপজেলায় পানিবন্দি অন্তত ২০ হাজার মানুষ। ডুবে গেছে নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট, ফসলি জমি, ভেসে যাচ্ছে পুকুরের মাছ।
পানিবন্দি চর এলাকার হাজার হাজার মানুষ। ডুবে গেছে আমন ধান ও সবজি ক্ষেত। ভাঙনের মুখে ঘরবাড়ি, স্কুলসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
রংপুরে কাউনিয়া পয়েন্ট ও ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি। এ ছাড়া, বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে নীলফামারী, গাইবান্ধা জেলার নদ-নদীতে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নিম্নাঞ্চল ও বেশ কয়েকটি চরাঞ্চলের বাসিন্দারা।
এদিকে, পদ্মার পানি বৃদ্ধিতে কুষ্টিয়ায় দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নে পানি ঢুকে পড়েছে নদী তীরের ৩৭টি গ্রামে। ফসলি জমি ও সড়কে পানি উঠায় মানবেতর জীবন এসব মানুষের।