মানিকগঞ্জে মমতাজসহ ১৫০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার গোবিন্দল এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহতের ঘটনার দীর্ঘ ১১ বছর সাত মাসের বেশি সময় পর মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে প্রধান আসামি করে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) মামলাটি করেন গোবিন্দল গ্রামের মো. শহিদুল ইসলাম (৫০)।
এ মামলায় মমতাজ ছাড়াও সিংগাইর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, তৎকালীন মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, ডিবি পুলিশের একাধিক পরিদর্শকসহ ৯০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৬০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক পৌর মেয়র মীর মো. শাহজাহান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান, সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বলধরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মাজেদ খান, সহসভাপতি রমজান আলী চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান ওরফে ভিপি শহীদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সায়েদুল ইসলাম, সিংগাইরের সাবেক মেয়র আবু নঈম মো. বাশার, সাবেক পৌর কমিশনার আব্দুস সালাম খান, সমেজ উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রমেজ উদ্দিন। এ ছাড়া আসামি করা হয়েছে তৎকালীন সদরের সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম, ডিবি পুলিশের ওসি মো. মহিবুল আলম, মদন মোহন বণিক, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, সিংগাইর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আদিল মাহমুদ, মোজাম্মেল হোসেনসহ ৩৮ জন পুলিশ সদস্যকে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি (রোববার) সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে গোবিন্দল বাসস্ট্যান্ডে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীসহ কিছু পুলিশ সদস্য টহল দিচ্ছিল। এ সময় কিছু মুসল্লির একটি মিছিল সিংগাইরের দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ বাধা প্রদান করলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মিছিলকারীরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে। এ সময় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের উল্লেখিত সন্ত্রাসী কর্মীরা বিভিন্ন প্রকার প্রাণনাশক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পুলিশের ছত্রছায়ায় বিনা উসকানিতে নিরীহ গ্রামবাসীর ওপর গুলি চালালে ঘটনাস্থলে চারজন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে ছিলেন এ মামলার বাদীর ভাই মাওলানা নাসির উদ্দীন।