দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করুন, খালি পেটে রাষ্ট্র সংস্কারের আলাপ মাথায় ঢুকবে না
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বাজার সিন্ডিকেটকে দমনের আহ্বান জানিয়েছেন। রাষ্ট্র সংস্কারের আলাপের আগে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবি জানান।
ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) এক পোস্টে হাসনাত লেখেন, সিন্ডিকেট দমন করে অতিশীঘ্রই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করুন। খালি পেটে রাষ্ট্র সংস্কারের আলাপ মাথায় ঢুকবে না।
এদিকে, জানা গেছে, খামারি ডিম উৎপাদন করে আর দাম নির্ধারণ করে অদৃশ্য সিন্ডিকেট। প্রতিদিনই দাম ওঠা-নামা করে কোনো কারণ ছাড়াই। দাম কমলে বিক্রি বন্ধ করে দেয় আড়তদার অনেকে। পরে দাম বাড়লে সেসব বিক্রি করেন তারা।
টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও ঢাকার তেজগাঁও কেন্দ্রিক সিন্ডিকেটগুলো দায় চাপায় একে অন্যের ওপর। অভিযানে কৃত্রিম মজুতদারদের বিরুদ্ধে মামলা জরিমানা হলেও সিন্ডিকেট আছে বহাল তবিয়তে।
আজ শুক্রবার বাজারে আবারও কাঁচা মরিচের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এক-দুদিনের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে এই নিত্যপণ্যটির দাম। চড়েছে সবজির বাজারও। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। সকালে রাজধানীর বেশ কয়েকটি সবজির বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এসব বাজারে কাঁচা মরিচ ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা আবুল মোকসেদ বলেন, ‘দুদিন আগেও মরিচ বিক্রি করেছি ২৪০ টাকা কেজি। শুনতেছি বর্ডার দিয়ে মরিচ আসতে পারছে না। তাই দাম বেশি।’
এদিকে ভ্যানে করে সবজি বিক্রি করা সবুজ নামের এক বিক্রেতা বলেন, ‘আমরা কারওয়ান বাজার থেকে সবজি আনি। ওইখানেই দাম অনেক। পাইকারিতে দাম না কমলে আমাদের করার কিছু নাই।’
হঠাৎ এ দাম বৃদ্ধির ফলে বিপাকে পড়েছে ক্রেতারা। আল আমিন নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘এতো বেশি দাম হলে কিনে খাব কীভাবে? বাজারে গেলে শরীর জ্বলে। ভেবেছিলাম, দাম কমবে। কিন্তু, কমছে না, বরং বাড়ছে।’
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুধু কাঁচামরিচ নয়, সব ধরনের সবজির দামই চড়া। একমাত্র পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। বাজার ভেদে আবার এই পেঁপেই বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। তবে অন্যান্য সব সবজির দাম ৬০ টাকার বেশি।
বাজারে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা পিস দরে। শশার কেজি ৮০ টাকা, লতি ৭০-৮০ টাকা কেজি, ঢেঁড়স ৬০ টাকা কেজি, পটল ৬০ টাকা, মূলা ৫০ টাকা, করল্লা ৮০ টাকা, উস্তা ৭০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন। প্রতি কেজি টমেটোর জন্য ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ১৬০ টাকা।