ছাত্র আন্দোলন দমনের লক্ষ্যে তৎপরতা চালান কামাল মজুমদার : রাষ্ট্রপক্ষ
রাজধানীর শাহআলী থানা এলাকায় ইকরামুল হক হত্যা মামলায় সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকে তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ শনিবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার তার তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আজ কামাল আহমেদকে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এরপরে আসামিপক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের এই আদেশ দেন।
রিমান্ডের আদেশের পরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘কামাল আহমেদ ফ্যসিস্ট শেখ হাসিনার অন্যতম সহচর এবং তিনি ছাত্র আন্দোলন দমনের লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য তৎপরতা চালান। মিরপুর এবং কাফরুল এলাকার তিনি অবৈধভাবে নির্বাচিত এমপি ও তাকে অবৈধ কার্যকলাপের জন্য শেখ হাসিনা শিল্প প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছিলেন।’ তিনি বলেন, ‘কামাল আহমেদ মজুমদারের মোহনা টেলিভিশন রয়েছে। মোহনা টেলিভিশনে সারাদিন ও সারা বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন ও ইন্ধন দিয়েছেন এবং জনগণের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে বাজেভাবে কথাগুলো উপস্থাপন করেছেন।’
পিপি ফারুকী বলেন, ‘কামাল আহমেদ মজুমদার ওই এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। ১৫ বছরে ওই এলাকায় অনেক ছাত্র জনতাকে গুম করেছেন, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীকে হত্যা এবং ক্রস ফায়ারের মাধ্যমেও হত্যা করেছেন।’
এর আগে গতকাল শুক্রবার দিনগত রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে কামাল আহমেদ মজুমদারকে গ্রেপ্তার করে কাফরুল থানা পুলিশ।
মামলার নথি থেকে জানা গেছ, গত ৪ আগস্ট মিরপুর-১০ এর শাহআলী মাজারের সামনে গুলিতে আহত হন ইকরামুল হক। চিকিৎসার জন্য তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে গত ১৪ আগস্ট তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ইকরামুল হকের বাবা জিয়াউল হক ৭ সেপ্টেম্বর শাহআলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।