বিগত সরকারের আমলে প্রকল্প অনুমোদনে রাজনৈতিক প্রভাব ছিল : ড. দেবপ্রিয়
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রশাসন রাজনৈতিকভাবে জিম্মি ছিল। অর্থ লুটপাটের জন্য প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নেও রাজনৈতিক প্রভাব ছিল বলে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটিকে সচিব ও জ্যেষ্ঠ সচিবরা জানিয়েছেন। এখন সচিব ও জ্যেষ্ঠ সচিবরা স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দাবি করেছেন।
আজ রোববার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব কথা বলেন।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন প্রকল্প নেওয়ার আগেই জমি কেনায় অনিয়ম পাওয়া গেছে। প্রকল্পের দরকারি যন্ত্রপাতি কিনতে দুর্নীতি করা হয়েছে। ঠিকাদার নিয়োগেও অনিয়ম করা হয়েছে। বিগত সরকারের আমলে সব প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব ছিল। সেই সময় উন্নয়নের নামে যে বয়ান সৃষ্টি করা হয়েছিল, এর বিপক্ষে কেউ কিছু করতে গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আলোচনায় বক্তারা জানান, তারা পুরোটাই পরিস্থিতির শিকার ছিলেন। কেউ কেউ হেনস্তার শিকার হয়েছেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) দুর্বলতা কাটানো দরকার জানিয়ে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা ও চলমান সংস্কার কাজ ঠিক মতো হলে জবাবদিহি নিশ্চিত হবে।
কমিটিপ্রধান বলেন, দ্রুত শ্বেতপত্র প্রধান উপদেষ্টার হাতে দেওয়া হবে। এরপর সরকার সিদ্ধান্ত নেবে এটি নিয়ে কী করা হবে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও জানান, বৈঠকে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রকল্প নিয়েও আলোচনা হয়েছে, যেমন- হাইটেক পার্ক, কর্ণফুলী টানেল, জ্বালানি খাত, সামাজিক সুরক্ষা, রাজস্ব সংগ্রহ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকা। ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের ভূমিকা ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পরিচালক নিয়োগ নিয়েও কথা হয়েছে।
আজকের বৈঠকে সরকারের ৮৫ জন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করেছে শ্বেতপত্র কমিটি। বৈঠকে ৩২ জন সচিব ও সিনিয়র সচিব উপস্থিত ছিলেন।