যশোর জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, মুখ ঢাকা একজন আরবিতে বক্তব্য দিচ্ছেন। তার পাশে দুজন কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। মঞ্চে তাদের আশপাশে বেশ কয়েকজনকে শ্রোতা হিসেবে দেখা যায়।

গতকাল বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এমনই একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ঘটনার অনুসন্ধানে জানা যায়, এটি ছিল ওই মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের অভিনয়।  

যশোর শহরতলীর রাজারহাট বিহারি কলোনি এলাকায় ২০১২ সালে যশোর জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই কওমি মাদ্রাসায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। এখানে মূলত হাফেজ, মাওলানা ও মুফতি ডিগ্রি দেওয়া হয়।

মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মুফতি মাগফুর রহমান বলেন, ‘এই মাদ্রাসায় প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের নিয়ে বার্ষিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে যারা বক্তৃতা, হামদ, নাত, গজল ও অভিনয়ে ভালো করে তাদের পুরস্কৃত করা হয়। গত ১৭ ডিসেম্বর এই মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছাত্ররা ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে অভিনয় করে দেখায়। সেটির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। শিক্ষার্থীদের হাতে থাকা অস্ত্রগুলো ছিল কাঠ ও শোলা দিয়ে তৈরি।’

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি লুৎফুর রহমান ফারুকী বলেন, ‘১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর এই মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আজীবন সদস্যদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই মঞ্চেই বার্ষিক আঞ্জুমানের (ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা) আয়োজন করা হয়। আঞ্জুমানে শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশ হয়। এতে যারা ভালো করে তাদের পুরস্কৃত করা হয়। বিষয়টি কোনো খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়নি।’  

এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ভিডিওটি দেখেছি। মাদ্রাসার ছাত্রদের একটি প্রতিযোগিতার অংশ। তারা ডামি অস্ত্র ব্যবহার করে অভিনয় করেছে।’