মেঘনা নদীতে মালবাহী জাহাজে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭
চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে থেমে থাকা একটি জাহাজ থেকে গুরুতর আহত ৩ জনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দুজন মারা গেছে। এর আগে জাহাজটি থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফলে ওই জাহাজে থাকা মোট ৭ জনের মৃত্যু হলো। অপরজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুরের নৌ-পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান।
নৌপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুরের নৌসীমানার মেঘনা নদীতে নোঙর করা এমভি আল বাখেরা লাইটার জাহাজের বিভিন্ন স্টাফ রুমে মরদেহ পড়ে থাকার খবরে নৌপুলিশ গিয়ে ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে, ডাকাত দলের হামলায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত তিনজনকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহত বা আহতদের পরিচয় জানা যায়নি। এ ঘটনায় নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের একাধিক টিম কাজ করছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে মরদেহগুলো পাওয়া যায় বলে নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর নৌ পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান।
নৌ-পুলিশ সুপার জানান, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে বিকেল ৩টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে জাহাজটির পাঁচটি কক্ষে পাঁচজনের মরদেহ পাওয়া যায়। বাকি তিনজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। জাহাজটিতে আটজন ছিলেন।
মুশফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে সার বহনকারী আল বাকেরা লঞ্চে দিনে বা রাতের যে কোনো সময় দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি। খবর পেয়ে বিকেলে কোস্টগার্ড, নৌপুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে গিয়ে লঞ্চ থেকে মরদেহ ও আহতদের উদ্ধার করে।’