জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র লিখিত দলিল হবে : সারজিস আলম
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, ৩১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই অভ্যুত্থানের যে ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে তা বাংলাদেশের একটি লিখিত দলিল হয়ে থাকবে।
আজ রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সারজিস আলম এ মন্তব্য করেন। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেশ কয়েকজন আহ্বায়ক বক্তব্য দেন।
সংবাদ সম্মেলনে সারজিস আলম বলেন, ঘোষণাপত্রটি বাংলাদেশের একটি দলিল হয়ে থাকবে, যা বিগত সিস্টেম যেগুলো মানুষ গ্রহণ করেনি এবং নতুন যে সিস্টেম চালু হবে তার পার্থক্য হিসেবে। নতুন যারা দেশ পরিচালনায় আসবে তাদের জন্য এ ঘোষণাপত্র একটি নির্দেশক হিসেবে থাকবে। এটি বাংলাদেশের সব মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।
সারজিস আলম আরও বলেন, বিপ্লবের ঘোষণাপত্র আরও আগেই দেওয়া প্রয়োজন ছিল। তবে রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন সেক্টর থেকে সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। ২৪ এর বিপ্লবে কী হয়েছে, কোন প্রেক্ষাপটে বিপ্লব হয়েছে এবং বিপ্লব পরবর্তী দেশ কেমন হওয়া উচিত সেই প্রেক্ষাপটে একটি আকাঙ্ক্ষার যাত্রা হবে। তার আলোকেই হবে আগামীর বাংলাদেশের ঘোষণাপত্র।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ৫ আগস্ট না হওয়ার কারণে বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে ফ্যাসিস্টরা। এটি গণঅভ্যুত্থানের লেজিটিমেসিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। গণঅভ্যুত্থান ঘিরে মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয়েছে এবং ’৭২-এর সংবিধান যে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, তার একটি দালিলিক প্রমাণ হিসেবে ৩১ ডিসেম্বর জাতির সামনে মুজিববাদী ’৭২-এর সংবিধানের কবর রচিত হবে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে মানুষের আকাঙ্ক্ষা ঘোষণার জন্য ৩১ ডিসেম্বর মানুষ শহীদ মিনারে জড়ো হবে।