শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরম কাপড়ের চাহিদা
গত কয়েক দিন ও রাতে সমান তালে কমছে তাপমাত্রা। ঘন কুয়াশার কারণে দেখা মিলছে না সূর্যের। ফলে সরা দেশ কাপঁছে শীতের অনুভূতিতে। আর এই শীতের সঙ্গে বাড়ছে গরম কাপড়ের চাহিদা। রাজধানীসহ সারা দেশের বড় দোকান থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকানেও চলে এসেছে শীতের পোশাক। সপ্তাহখানেক আগে থেকে বেচাবিক্রিও শুরু হয়েছে। শপিং মলে এখনও তেমন বেচাবিক্রি চোখে না পড়লেও ফুটপাতে শীতের কাপড়ের বেচাকেনা ভালোই চলছে।
প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিক্রেতাদের হাঁকডাকে জমজমাট থাকছে রাজধানীর ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো।
আজ শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীর ফার্মগেট, মিরপুর, গুলিস্তান, ওয়ারি ও লক্ষ্মীবাজারের ফুটপাত ও শপিং মলে দেখা গেছে এমন চিত্র।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নিম্নবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরাও শীতবস্ত্র কিনতে ফুটপাতের দোকানে ভিড় করছেন। শীতের জ্যাকেট, চাদর, গেঞ্জি, হুডি, মাফলার, পুরনো কমফোর্টার, হাতমোজা, কান-টুপিসহ সবধরনের শীতবস্ত্রই মিলছে এসব দোকানে। অনেক দোকানে আবার শুধুই শিশুদের শীতের কাপড় বিক্রি হচ্ছে।
ফার্মগেট এলাকায় ফুটপাতে শীতবস্ত্র বিক্রি করেন রুবেল হোসেন। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ফুটপাতে কাপড় বিক্রি করেই সংসার চালাই। শীতের মৌসুম, তাই শীতবস্ত্র বিক্রি শুরু করেছি। শীতের কারণে গরম কাপড়ের চাহিদা বেড়ে গেছে। বেচা বিক্রি ভালোই চলছে।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বিপরীত পাশের ফুটপাত থেকে সন্তানের জন্য শীতবস্ত্র কিনতে এসেছেন সাবিনা আক্তার নামে একজন গৃহিণী। তিনি বলেন, শীত বেড়ে যাওয়া শীতের পোশাকের দাম আগের চেয়ে কিছুটা বেড়ে গেছে। এক হাজার টাকার মধ্যে তিন বাচ্চার শীতের পোশাক কিনে ফেলেছি।
ফুটপাত থেকে নিজের জন্য সোয়েটার কিনতে আসা আফজাল হেসেন নামে একজন রিকশাচালক বলেন, দিনে শীত না পড়লেও রাতে রিকশা চালাতে ঠান্ডা লাগে। তাই একটা সোয়েটার কিনতে এসেছি। কিন্তু দাম চাইছে ৩০০ টাকা। ২০০ টাকা বলছি, কিন্তু দোকানদার কোনোভাবেই দিচ্ছে না।
নিউমার্কেট এলাকাতে কাপড়ের দোকানগুলোতে সবচেয়ে বেশি ভিড় শীতের কাপড়ের দোকানে।
শপিং মলগুলোতেও জমে উঠেছে বেচাকেনা
বড় বড় বিপণিবিতান, শপিং মল ও ব্র্যান্ডের দোকানগুলো ঘুড়ে দেখা যায় নিত্য-নতুন শীতের পোশাক। হরদম চলছে বেচাবিক্রি। বিভিন্ন ব্র্যান্ডগুলো শীতের পোশাকের ওপর দিচ্ছে ভিবিন্ন রকম ছাড়।
বসুন্ধারা শপিং মলের ইজি ফ্যাশনের দোকানে গিয়ে ক্রেতাদের ব্যপক ভিড় লক্ষ করা গেছে। হাসান নামে একজন ক্রেতা জানান, দরদাম করার চেয়ে মোটামুটি ব্র্যান্ডের দোকানে একদামে পণ্য কেনাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। এখানকার প্রোডাক্টগুলো মানসম্মত।
শিমুল নামে ইজি ফ্যাশনের একজন কর্মকর্তা জানান, শো-রুমে শীতের পোশাক এসেছে আরও দুই সপ্তাহ আগে। বেচাবিক্রি এতদিন মোটামুটি হলেও এখন খুবই ভালো।
এ ছাড়া ক্যাটস আই, ট্যাক্স পয়েন্ট শো-রুমে দেখা যায় শীতের পোশাকের ওপর ৩০ পার্সেন্ট পর্যন্ত ছাড়।
আনলইনে শীতের পোশাকের সমহার
ফুটপাত, বড় বিপণিবিতানের মতই সমান তালে অনলাইনেও চলেছে শীতের পোশাকের বেচাকেনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে দেখা যায় ভিবিন্ন ছাড় দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রচার চালচ্ছেন উদ্যোক্তারা।