ইজতেমার ৭০ ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন : বিভাগীয় কমিশনার
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/01/17/tongi-estema-picg-tham.jpg)
আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার ৭০ ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বাকি প্রস্তুতি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার সরফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।
আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান পরিদর্শনে এসে বিভাগীয় কমিশনার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ইজতেমার সার্বিক প্রস্তুতি তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি যাঁরা আছেন তাঁরাই করে থাকেন। তবে তাঁদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা তাদের সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করে থাকি। এক সময় তারা নিজেরাই সবকিছু করতেন। ইজতেমার পরিধি বাড়ায় বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। এটা সাধারণত ইজতেমার মুরব্বি যাঁরা আছেন তাঁদের সঙ্গে পরামর্শ করে আমরা তাঁদের চাহিদা অনুযায়ী সহযোগিতা করে থাকি।
বিভাগীয় কমিশনার আরও বলেন, আপনারা জানেন ইজতেমাকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ মুসলিম জামাত বলা হয়ে থাকে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক মুসল্লি এখানে উপস্থিত হয়। এজন্য তাদের কিছু মৌলিক চাহিদা রয়েছে। টয়লেট, স্বাস্থ্য, খাবার পানি—এসব বিষয়ে আমরা তাদের সহায়তা দিয়ে থাকি।
সরকারের বিভিন্ন দপ্তর একটা বড় ভূমিকা পালন করে থাকে উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের একটা বড় দায়িত্ব রয়েছে। এ ছাড়া পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট, জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2025/01/17/tongi-estema-picg-.jpg)
সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, এখন পর্যন্ত ইজতেমার প্রস্তুতিমূলক কর্মকাণ্ড ঠিক মতোই এগোচ্ছে। আশা করছি এজতেমা শুরুর আগে আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারব।
এজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় পর্ব শুরুর আগে ইজতেমা মাঠের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্রের যাতে কোনো ধরনের ক্ষতি না হয় সে ব্যাপারে তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বিদের দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান তিনি। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনিকেও বলা হয়েছে বলে জানান তিনি। প্রতিটি দপ্তর তাদের নিজ নিজ জিনিসপত্র তাদের নিজেদের হেফাজতে রাখবে।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ইজতেমা কর্তৃপক্ষের চাহিদা ছিল চটের পরিবর্তে টিনের। তাদের চাহিদা অনুযায়ী সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইজতেমায় যাতে মুসল্লিরা নির্বিঘ্নে আসতে এবং ইজতেমা শেষে যেতে পারে সে বিষয়ে সরকার সচেষ্ট রয়েছে।
এ সময় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শফিউল আজম, জেলা প্রশাসক নাফিসা আরিফিনসহ জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বিরা উপস্থিত ছিলেন।