বেইজিংয়ের সঙ্গে ঢাকার অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব জোরদারের উপায় ও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার জন্য চীনের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন।

একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, চীন ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চলতি বছরের মার্চে বেইজিং সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে এবং ঢাকা এটিকে ইতিবাচকভাবে দেখছে। বাংলাদেশ ও চীন ২০২৫ সালে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

গত বছরের আগস্টে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর’ হিসেবে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র আমন্ত্রণে এই উপদেষ্টা এ সফর করছেন।

আগামী ২১-২৩ জানুয়ারি চীন সফরকালে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। আগামী ২৪ জানুয়ারি তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করতে ঋণের সুদের হার কমানো, ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ বছর করা এবং প্রতিশ্রুতি ফি মওকুফ করতে চীনকে অনুরোধ করতে পারে।

হোসেনের সফরে বাজেট সহায়তাসহ বিষয়গুলো ব্যাপকভাবে উঠে আসবে। ‘... অর্থনৈতিক সমস্ত বিষয় আলোচনায় আসবে। কিছু বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

উপদেষ্টা গত সপ্তাহে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তারা বাজেট সহায়তা নিয়ে আলোচনা করবেন, চীনের সহায়তা অন্বেষণ করবেন। বাংলাদেশি প্রকল্পগুলোর জন্য ঋণ বিতরণ ত্বরান্বিত করবেন এবং প্রতিশ্রুতি ফি পুরোপুরি প্রত্যাহারের দাবি জানাবেন।

চীনে একটি প্রতিশ্রুতি ফি হলো একটি ঋণদাতার কর্তৃক ঋণগ্রহীতার কাছে একটি লাইন অফ ক্রেডিট সুযোগ রাখার জন্য একটি মাশুল।

চীনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরকে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার রূপরেখা হিসেবে বেইজিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার ও গভীর করার একটি ‘বড় সুযোগ’ হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ।

গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (জিডিআই) সম্পর্কে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, কিছু বিষয় রয়েছে যা ইতিবাচকভাবে আলোচনা করা অব্যাহত থাকবে। তবে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেবল সরকারনির্ভর নয়।

জিডিআই ২০২১ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রস্তাবিত একটি বহুপাক্ষিক উন্নয়ন উদ্যোগ।