কুয়াশাচ্ছন্ন নওগাঁ, মিলছে না সূর্যের দেখা
মাঘের শুরুতে তীব্র শীত অনুভূত না হলেও কয়েকদিন থেকে বেড়েছে শীতের দাপট। গত দুইদিন থেকে দেখা মিলছে না সূর্যের। রোদহীন মেঘলা আকাশ, দিনভর কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় আবারও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নওগাঁর জনজীবন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) নওগাঁয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্থানীয়রা জানান, গত দুই দিন ধরেই কুয়াশা আর মেঘের আড়ালে ঢাকা রয়েছে সূর্য। সকাল থেকে কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কিছুটা কম থাকলেও রাতে এবং সকালে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। সঙ্গে হিমেল বাতাস শীতের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। এমন আবহাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষরা।
জীবিকার তাগিদে অনেকে কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হলেও তাদের পড়তে হচ্ছে বিপাকে।
নওগাঁ সদর উপজেলার বরুনকান্দি এলাকার আকবর হোসেন বলেন, গতকাল থেকে মেঘ আর কুয়াশায় দেখা যাচ্ছে না সূর্য। কাজ করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। ঠান্ডা বাতাসের কারণে কাজ করতে গিয়ে হাত-পা অবশ হয়ে আসে।
শিবপুর এলাকার কৃষক ইদ্রিস আলী বলেন, হঠাৎ করে প্রচুর ঠান্ডা পড়েছে। এখন ধানের চারা রোপণের সময়। জমির পানিতে নামলে মনে হচ্ছে বরফ হয়ে আছে। এজন্য ঠিক মতো ধান রোপণ করতে পারছি না।
নওগাঁর বদলগাছী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দুদিন ধরেই মেঘ-কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে সূর্য। তবে আগামীকাল থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও তিনি জানান।
নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়াল জানান, এ পর্যন্ত নওগাঁয় ২০ হাজার কম্বল ও ৬৭ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছিল। ইতোমধ্যে জেলার ১১টি উপজেলা ও তিনটি পৌরসভা এলাকায় অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে ২০ হাজার কম্বল ও ৬৭ লাখ টাকার গরম কাপড় (চাদর, সোয়েটার, কম্বল) বিতরণ করা হয়েছে।