‘যশোর আইটি পার্ক এখনও ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের লুটেরার নিয়ন্ত্রণে’
যশোর আইটি পার্ক পরিচালনা দায়িত্ব থেকে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের অন্যতম লুটেরা (অলিগার্ক) ওয়াহেদ শরীফের টেকসিটি কোম্পানিকে অপসারণসহ বেশকিছু দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বিনিয়োগকারীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় যশোর আইটি পার্ক ইনভেস্টরস অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে পার্ক ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে পার্কের উত্তর গেটে যশোর-খুলনা মহাসড়কে সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ করেন তাঁরা।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহসান কবীরের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজালাল, কোষাধ্যক্ষ নাহিদুল ইসলাম নাহিদ, আইটি প্রতিষ্ঠান সেমিকোলনের পরিচালক পারভেজ মোহাম্মদ হীরা, ভিকস আইটির পরিচালক ভিক্টর সাহা, অংশ আইটির পরিচালক মহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
যশোর আইটি পার্ক ইনভেস্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজালাল সাংবাদিকদের বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর ছয় মাস পার হয়ে গেলেও এখনও ফ্যাসিস্টের দালাল ওয়াহেদ শরীফের প্রতিষ্ঠান টেকসিটিকে যশোর আইটি পার্ক পরিচালনার দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়নি। জনগণের করের টাকা ও বিশ্বব্যাংকের ঋণে তৈরি যশোর আইটি পার্ক পুরোপুরি ভোগদখল করছে টেকসিটি। এক টাকাও বিনিয়োগ না করে শুধু সজিব ওয়াজেদ জয়ের বন্ধু পরিচয়ে যশোর আইটি পার্কের আয়ের ৮২ শতাংশ নিয়ে যাচ্ছেন ওয়াহেদ শরীফ। সরকার পাচ্ছে মাত্র ১৮ শতাংশ। এরপর বিনিয়োগকারীদের ওপর চাপানো হয় অস্বাভাবিক ভাড়া ও ভৌতিক বিদ্যুৎ বিল।
মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, হাইটেক পার্ক অথরিটিকে বারবার এসব সমস্যার সমাধান করতে বলা হলেও তারা তখন ‘জয়ের বন্ধুর কাছে অসহায়’ বলে আত্মসমর্পণ করতেন। সেই হাইটেক পার্কের কর্মকর্তারা এখনও জয়ের সেই বন্ধুর পক্ষেই অবস্থান নিয়ে টেকসিটিকে টিকিয়ে রেখেছেন। আর শুরু থেকে টেকসিটির দায় মেটাতে মেটাতে পার্কের বিনিয়োগকারীরা আজ সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন।
শাহজালাল বলেন, অবিলম্বে ফ্যাসিস্ট সরকারের দালাল টেকসিটির কার্যক্রম বন্ধ, হাইটেক পার্ক অথরিটির এমডির পদত্যাগ, বিনিয়োগকারীদের ব্যবসায়ীক ক্ষতিপূরণ, ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল সংক্রান্ত সমস্যার যৌক্তিক সমাধানসহ পার্কে ব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টির দাবিতে বিনিয়োগকারীরা আজ বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন। এসব দাবিতে এর আগেও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে এসব দাবি মেনে নেওয়া না হলে অচিরেই যশোরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তিনি জানান।