বরিশালের সঙ্গে পাঁচ জেলার ১৯ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দিনগত রাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘাতের ঘটনায় ধর্মঘট ডাকে রুপাতলী বাস টার্মিনালের শ্রমিকরা। এতে বরগুনা, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি ও পটুয়াখালী জেলার সঙ্গে বরিশালের বাস যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বাস বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ঝালকাঠি মালিক সমিতির বাসে হাফ ভাড়া দেওয়া নিয়ে হেলপারের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয় বরিশাল বিএম কলেজের এক ছাত্রীর। পরে কলেজ শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে সন্ধ্যায় রুপাতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় একদল শিক্ষার্থী। এ সময় পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসসহ বেশ কয়েকটি বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং হামলাকারীদের বিচার দাবিতে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন শ্রমিকরা।

এদিকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা। দূর-দূরান্তের বহু যাত্রীকে টার্মিনালে এসে বসে থাকতে দেখা গেছে। কেউ কেউ আবার বিকল্প যানে গন্তব্যে পৌঁছাতে চেষ্টা করছেন।

বরিশাল বাস মালিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নিরাপত্তার অভাবে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে শ্রমিকরা। তারাই ভালো বলতে পারবে, কবে নাগাদ কাজে যোগ দেবে।’

এদিকে হাফ ভাড়া নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় শিক্ষার্থী লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে ৮ দফা দাবি জানিয়েছে বরিশালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বাস ধর্মঘটের বিরুদ্ধেও কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। বাস বন্ধ রাখা হলে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় সংগঠনটি।