আওয়ামী আমলে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা রাজপথে
আওয়ামী সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চাকরি ফিরে পেতে রাজপথে আন্দোলনে নেমেছেন। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) পদযাত্রা নিয়ে সচিবালয়ের সামনে গেলে সেখানে তাদের বাধা দেয় পুলিশ।
পরে তাদের পাঁচজন দাবি-দাওয়া নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলার জন্য সচিবালয়ের ভেতরে ঢোকেন। দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে সচিবালয়ের ভেতরে যান তারা। তাদের মধ্যে রয়েছেন—সাইফুল, সাদ্দাম, মামুন, সিরাজুল হক ও শাজাহান সাজু।
সচিবালয়ে প্রবেশের আগে এই পাঁচজন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সে সময় তারা গণমাধ্যমে জানান, তাদেরকে আশ্বাস দিয়ে এখনও চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। যারা তাদের আশ্বাস দিয়েছিল, তারা অন্যায় করেছেন এবং আইন ভঙ্গ করেছেন। বিগত সরকারের আমলে পুলিশের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। তারা এখন ঠিকই চাকরি ফিরে পেয়েছেন এবং চাকরি করছেন। বর্তমান আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার বাধ্যতামূলক অবসরে ছিলেন। কিন্তু পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার চাকরি করছেন।
আন্দোলনরত চাকরিচ্যুত এই পুলিশ সদস্যদের প্রশ্ন, তাহলে কেন তারা চাকরি করতে পারবেন না? দেখা গেছে, পুলিশ পরিবারের প্রায় দুই হাজার সদস্য এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে তারা এই আন্দোলন করছেন। আন্দোলনে অংশ নেওয়া এসআই পদমর্যাদার চাকরিচ্যুত এক পুলিশ সদস্য গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা তো কোনো অন্যায় করিনি। অন্যায়ভাবে আমাদের চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’
আন্দোলনে অংশ নেওয়া আরেকজন বলেন, ‘আমরা গত ছয় মাস ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছি। আমরা যখন শুরুতে আন্দোলন করেছিলাম তখন আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছি এবং আমাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেছি। পরে আমরা সাবেক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে দেখা করি। তিনি আমাদের কাগজপত্র দেখেন এবং বলেন যে আমাদের দাবি যৌক্তিক এবং আমাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তিনি তখন বলেছেন, আন্দোলনরতদের মধ্যে প্রায় ৯৮ শতাংশের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তাঁর সে আশ্বাসে আমরা আন্দোলন স্থগিত করি। একে একে দিন পার হলেও আমাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। তাই আমরা আবারও আন্দোলনে নেমেছি। আমাদের চাকরি ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন স্থগিত করব না।’