লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ছাত্রদলের দুপক্ষের মারামারি, আহত ১২
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে ছাত্রদলের দুপক্ষের সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়েছে। এতে বিএনপি নেতাসহ উভয়পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ভোলাকোট ইউনিয়নের নাগমুদ বাজারে ছাত্রদল নেতা আরমান হোসেন রাকিব ও ফাহিম চৌধুরীসহ তাদের অনুসারীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতরা হলেন স্থানীয় বিএনপিনেতা কবির পাটোয়ারী, আহাম্মেদ তফু, অহিদ উল্যা, যুবদলনেতা রাজু পাটোয়ারী, শাহাদাত পাটোয়ারী, সিরাজ মিয়া, ছাত্রদলনেতা শরীফ হোসেন, মিরাজ হোসেন, সিয়াম, ফারুক হোসেন, মো. ফাহিম ও শাকিল। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্তির ঘটনা নিয়ে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আরমান হোসেন রাকিব ও সদস্য ফাহিম চৌধুরীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও একে অপরের বিরুদ্ধে লেখালেখি করে। এতে সোমবার ফাহিম ইউনিয়ন পরিষদের এলে রাকিবের অনুসারীরা তাকে মারধর করে। এ ঘটনায় বিকেলে ছাত্রদলের একাংশ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। ওই সভায় রাকিবের পদত্যাগের দাবি ওঠে। এর জের ধরে বাজারে দুপক্ষের মধ্যে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ভোলাকোট ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আরমান হোসেন রাকিব বলেন, ১, ২, ৬ ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত করায় একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচার চালায়। এখন আবার আমার বিরুদ্ধে ফাহিম মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।
ভোলাকোট ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল খায়ের মুকসুদি বলেন, ছাত্রদলের একাংশ প্রতিবাদ সভা করেছে। আমরা সেখানে ছিলাম। সেখান থেকে চলে আসলে পরে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা কেউ আমাকে জানায়নি। খোঁজ নিয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দুই পক্ষকে শান্ত থাকার জন্য দলের সিনিয়র নেতারা নির্দেশ দিয়েছেন।