ইটনায় জলমহাল থেকে কোটি টাকার মাছ লুট

কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা ইটনায় জলমহাল থেকে কোটি টাকার মাছ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে ইটনা উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের দৈলং আফানিয়া জলমহাল থেকে মাছ লুটের এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ, আটপাড়া, কেন্দুয়া, মদন এবং খালিয়াজুরী এলাকা থেকে মাছ শিকারিরা প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ লোকবল নিয়ে পলো ও লাঠিসোটা নিয়ে জলমহালে নেমে মাছ শিকার করে নিয়ে গেছে। জলমহালের লোকজন তাদেরকে বাধা দিতে গেলে হামলা এবং মেরে ফেলার ভয়ভীতি দেখানো হয়।
জানা গেছে, কিছুদিন ধরেই এইসব মাছ শিকারিরা হাওরের বিভিন্ন জলমহাল থেকে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার মাছ লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি সাধারণ মানুষের।
জলমহালের ইজারাদার রনজিৎ চন্দ্র দাস বলেন, আমি দৈলং আফানিয়া জলমহালটি উত্তর ধীনেষপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির কাছ থেকে ইজারা নিয়ে প্রায় ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা খরচ করে অভয়াশ্রম তৈরি করেছি। আমাদেরকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে সব মাছ লুট করে নিয়ে গেছে। আমার জলমহাল থেকে প্রায় কোটি টাকার মাছ লুটপাট করা হয়েছে। আমি এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মৎস্য অফিসারসহ সবাইকে জানিয়েছি। আমার ক্ষয়ক্ষতির জন্য আইনগত সহযোগিতা চাচ্ছি।
এ বিষয়ে ইটনা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাজীব চন্দ্র দাস জানান, গতকাল জলমহাল থেকে পলো দিয়ে মাছ লুটপাটের বিষয়ে শুনেছি। এটা খুব দুঃখজনক ঘটনা। আমাদের ইটনার দ্বিতীয় বৃহত্তম দৈলং আফানিয়া জলমহালটি থেকে অবৈধভাবে লুটপাট করে মাছ মেরে নিয়ে গেছে। এইভাবে প্রতি বছর হাওরের বিভিন্ন জলমহাল থেকে অবৈধভাবে মাছ মেরে নিয়ে যায় মাছ শিকারিরা। জলমহলের ইজারাদাররা প্রশাসনের কাছে বিচার চেয়েও কোনো সুরাহা হচ্ছে না। এতে কোটি কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন ইজারাদাররা। এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, জলমহাল থেকে পলো দিয়ে মাছ মেরে নেওয়ার ঘটনা শুনেছি। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।