ডিএমপির সেরকম কোনো গোয়েন্দা বাহিনী নেই : কমিশনার

ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ‘আমার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সেরকম কোনো গোয়েন্দা বাহিনী নেই। আমার বাঁ পাশে বসা ডিবিপ্রধান রেজাউল করিম মল্লিক, যাকে গোয়েন্দা বলে। ঠিক ওই অর্থে তারা গোয়েন্দা না। গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান কাজ হচ্ছে, ইন্টেলিজেন্স কালেক্ট করা। তো আমার পাশে যিনি বসা ডিবিপ্রধান, তারা মূলত ক্রিমিনালদের নিয়ে কাজ করে। ক্রিমিনাল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কাজ করে। ওটা ছিল ভিন্ন।’
আজ শনিবার (৮ মার্চ) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে স্বর্ণলঙ্কার লুটের ঘটনায় ডাকাতদের গ্রেপ্তার নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলেন এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
সংবাদ সম্মেলনে এক সংবাদিক প্রশ্ন করেন, গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর মিছিল বের করেছে। এর আগে তাদের কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে চলছে। তারা রাস্তায় ও অলিগলিতে পোস্টার টাঙিয়েছে। আপনার যে গোয়েন্দা বাহিনী রয়েছে, তারা এসব কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে? এর জবাবে সাজ্জাত আলী ওই মন্তব্য করেন।
শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, ‘তবে, গতকাল ঘটনার শুরুতে দেখেই আমরা তাদের ডিসপার্স করতে পারতাম। কিন্তু, আপনারা জানেন, সেখানে প্রচুর মুসল্লি ছিল। আমরা কোনো অ্যাকশানে গেলে মুসল্লিদের গায়ে আঘাত লাগতে পারে। কাঁদানে গ্যাসে আক্রান্ত হতে পারে। মুসল্লিদের ক্ষতি হতে পারে। তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে। সেজন্য অত্যন্ত সুক্ষ্মভাবে আমাদের চিন্তা-ভাবনা করতে হতে পারে। পরে যখন তাদের বাইফারগেট করা হয়েছে, পল্টন মোড় থেকে যখন বিজয় নগরের দিকে মোড় নিতে গেছে, সে সময় আমরা অ্যাকশানে গেছি। তাদের ডিসপার্স করছি। স্পটে আমরা ১৫ জনকে অ্যারেস্ট করেছি। পরে আরও চারজনকে ধরছি। তার আগের রাতে তিনজনকে ধরা হয়েছে। মোট ২২ জনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমাদের যে অন্য গোয়েন্দা বাহিনী আছে। আমরা তাদের গোয়েন্দা তথ্যের ওপর কাজ করি।’
সংবাদিক প্রশ্ন করেন, ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) নামে একটি আলাদা ইউনিটই রয়েছে; যারা নিষিদ্ধ ও জঙ্গি সংগঠন নিয়ে কাজ করে। তখন ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘তাঁরাই তো পরশু ও গতকাল রাতে সাতজনকে অ্যারেস্ট করেছে।’
গত ৫ আগস্টের পর হিযবুত তাহেরীর তাদের সব কাজ প্রকাশ্যে করছে। গত এক মাস যাবৎ তারা তাদের মিছিলের পোস্টার বিভিন্ন জায়গায় লাগিয়েছে। সংবাদিকের এ কথার জবাবে কমিশনার সাজ্জাত আলী বলেন, ‘এখন গভীর রাতে গিয়ে আপনি একাও ৫০০ পোস্টারিং করে আসতে পারবেন। ঢাকা শহরের এত গলি, আপনি যদি মনে করেন আজ রাতে পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধ ৫০০ পোস্টারিং করব, এটাও পারবেন।’