ম্যাক্সের আলমগীরের দুর্নীতির খোঁজে দুদকের অভিযান

রেল খাতের অন্তত ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাগিয়ে নেওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারের মালিক ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরের খোঁজে রেল ভবনে অভিযানে পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বুধবার (১২ মার্চ) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ, স্বপন কুমার রায়, উপ-সহকারী পরিচালক মিনু আক্তার সুমি ও আনিসুর রহমান রাসেলের সমন্বয়ে টিম রেল ভবনে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম।
দুদক সূত্রে জানা যায়, রেল খাতের অন্তত ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার চিনকি আস্তানা-আশুগঞ্জ ক্ষতিগ্রস্ত রেলপথ সংস্কার প্রকল্প, দোহাজারি-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প, কাশিয়ানী-গোপালগঞ্জ রেলপথ নির্মাণ ও আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়।
প্রাপ্ত রেকর্ডপত্রে প্রায় ২৯৯ কোটি টাকার চিনকি আস্তানা-আশুগঞ্জ প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট অভিজ্ঞতা চাহিদা ছিল—বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে ৫০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ। এ ছাড়া ১১০ কোটি টাকার একই কাজ সম্পাদনা ও ১৪০ কোটি টাকার বাৎসরিক টার্নওভার।
অন্যদিকে প্রায় ৬২৮ কোটি কাশিয়ানী-গোপালগঞ্জ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প যোগ্যতা ছিল বিগত ১০ বছরে একই প্রকৃতির ২০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের দুটি চুক্তির কার্য সম্পাদন যার মূল্যমান ৩০০ কোটি টাকা ও যেকোনো তিন বছরের ৩০০ কোটি টাকার বাৎসরিক টার্নওভার। বর্ণিত কাজ দুটি এককভাবে পায় ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার। কিন্তু, ওই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক যোগ্যতা চুক্তি অনুযায়ী ছিল না মর্মে প্রাথমিকভাবে টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়।
সার্বিক পর্যালোচনায় ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরের প্রতিষ্ঠানটিতে অনৈতিক প্রক্রিয়ায় কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এ ছাড়াও আখাউড়া-লাকসাম ও দোহাজারি-কক্সবাজার প্রকল্পসহ ম্যাক্স গ্রুপের অন্যান্য প্রকল্প সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যাদি প্রাপ্তিসাপেক্ষে যাচাই ও বিশ্লেষণপূর্বক টিম একটি পূর্ণাঙ্গ এনফোর্সমেন্ট প্রতিবেদন কমিশন বরাবর দাখিল করবে।