আ.লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে ফখরুল বললেন, ‘এখনই কমেন্ট করব না’

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি এখনই কোনো কমেন্ট করব না। দয়া করে ওদিকে ডাইভার্ট করবেন না। থ্যাংক ইউ।’
আজ শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান মির্জা ফখরুল।
সংবাদ সম্মেলনে ডিসেম্বরের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার এবং সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রতি বিএনপির আস্থা আছে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী—সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার ভিত্তিক এবং বৈষম্যহীন একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের প্রত্যাশা পূরণের জন্য দেশের জনগণ অপেক্ষমাণ। ফ্যাসিবাদ উত্তর রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে নানা প্রস্তাব আর মতামত উঠে এসেছে সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের মাধ্যমে। যার মূল ভিত্তিটা রচনা করেছে বিএনপি, ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গণতান্ত্রিক সংস্কারের প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে, যা গণ-অভ্যুত্থানের অনেক আগে ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই। তাই এখন গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃহত্তর ঐক্যের মাধ্যমে সংস্কার প্রস্তাবগুলো গৃহীত এবং বাস্তবায়ন করা আবশ্যক। জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী সংস্কার প্রস্তাবগুলোর সাংবিধানিক ও আইনি ভিত্তি প্রদানের জন্য একটি নির্বাচিত সংসদই কেবল উপযুক্ত ফোরাম।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিদ্যমান ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য এই দেশ এবং দেশের মানুষের মূল চালিকাশক্তি। এই ঐক্যকে অক্ষুণ্ন রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। ঐক্যের চর্চাকে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিণত করতে হবে। আমরা এমন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারি না, যাতে করে ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য এবং গণ-ঐক্য বিনষ্ট হয় অথবা ফাটল ধরে। সুতরাং অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার অবস্থান বজায় রাখতে হবে। কোনো মহলকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের অ্যাজেন্ডা যেন সরকারের কর্মপরিকল্পনার অংশ না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমানসহ অন্যান্যরা।