জাতীয় নির্বাচন পাশ কাটিয়ে গেলে গণতন্ত্রে উত্তরণ হবে না : দুদু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দেশে পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে, জনগণের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে হলে, দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এই নির্বাচনকে যদি আমরা পাশ কাটিয়ে যাই তাহলে গণতন্ত্রে উত্তরণ করতে পারব না।
আজ সোমবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর বিআইডব্লিউটিসি মিলনায়তনে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে শামসুজ্জামান দুদু এসব কথা বলেন। ইফতার ও দোয়া মাহফিলটি আয়োজন করে বিআইডব্লিউটিসি এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দদু বলেন, দেশের জনগণের রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা তার এমপি, মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী পালিয়েছে। আওয়ামী লীগের দোসরা কিন্তু পালায়নি। তারা এখনো ঘাপটি মেরে আছে। তাদের নির্মূল করতে হবে।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হলে শ্রমিকদের রক্ষা করতে হবে। দেশের জনগণকে রক্ষা করতে হবে। পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে, দেশের জনগণের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে হলে, জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এই নির্বাচনকে যদি আমরা পাশ কাটিয়ে যাই তাহলে গণতন্ত্রে উত্তরণ করতে পারব না।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ মনে করেছিল তারা ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু তারা ক্ষমতায় আসেনি। বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল, কারণ আমাদের আছে আপসহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আমাদের আছে স্বাধীনতার ঘোষক, রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং তার চেতনা। বর্তমানে আমাদের আছে তারেক রহমান।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধ করেনি। তিনি পাকিস্তানের কারাগারে নিরাপদে ছিলেন। তিনি উড়ে এসে জুড়ে বসে ৭২ থেকে ৭৫ সালে বাংলাদেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলেন। ওই সময়ে ৪০ হাজার বিরোধীদলের নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। দেশে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করে লাখ লাখ মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিল। তার কন্যা শেখ হাসিনা পালানোর ৪৮ ঘন্টা আগে বলেছিল মুজিবকন্যা পালায় না। কিন্তু তিনি পালিয়েছেন, এবং লজ্জাজনকভাবে পালিয়েছেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, আগামী দিন শহীদ জিয়ার নেতাকর্মীদের জাতীয়তাবাদী চেতনার, আমরা আশা করি আগামী দিনে জাতীয়তাবাদী দল এ দেশে নেতৃত্ব দিবে।
সংগঠনের সভাপতি নিয়াজ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নাসিম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, কৃষকদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদি, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলামের রিপন ও সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।