রাজধানীর খিলগাঁওয়ের গোড়ান এলাকায় ডাকাতি করতে গিয়ে রেজিয়া বেগম (৭৫) নামে এক বৃদ্ধাকে হত্যার দায়ে ১০ আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—জাহাঙ্গীর হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, আলাউদ্দিন, শাহিন সরদার, মতিউর রহমান, আলম, সাইদুল ইসলাম, ইমরান ওরফে এমরান, ইশারত আলী ও মাইদুল ইসলাম।

এ ছাড়া বিচারক কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে রায় ঘোষণার আগে দেলোয়ার হোসেন ও মাইদুল ইসলামকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। পলাতক আট আসামির বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

নথি থেকে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে মা, স্ত্রী, সন্তানসহ ঘুমিয়ে পড়েন সৌদি ফেরত গোলাম কবীর। রাত ৩টা থেকে পৌনে ৪টার দিকে তাদের কাজের মেয়ে সাবিনা এসে গোলাম কবীরের দরজায় নক করে। বলেন, ‘নানী অসুস্থ, দরজা খোলেন।’ দরজা খুললেই চার থেকে পাঁচ জন ডাকাত রুমে প্রবেশ করে। তারা পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে ৪৭ ভরি স্বর্ণালংকার, টাকা-পয়সাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ডাকাতি করে। যার মূল্য ৯ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। প্রায় এক ঘণ্টা ডাকাতি করে তারা চলে যায়। গোলাম কবীর তার মা রেজিয়া বেগমের রুমে গিয়ে দেখেন, হাত-পা বাঁধা। পরে জানতে পারেন, ডাকাতরা তার মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।

এ ঘটনায় রাজধানীর খিলগাঁও থানায় গোলাম কবীর বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।