বার্ষিক মহড়া ‘আকাশ বিজয়’ পরিদর্শনে বিমানবাহিনী প্রধান

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান বিমানের বার্ষিক মহড়া : আকাশ বিজয়ের বিভিন্ন অপারেশনাল ও মেইনটেন্যান্স কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন।
আজ রোববার (২৭ এপ্রিল) এয়ার কমান্ড অপারেশন সেন্টার, এয়ার ডিফেন্স অপারেশন সেন্টার, বিমানবাহিনী ঘাঁটি বাশার, বিমানবাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার, বিমানবাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক ও বিমানবাহিনী ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানে বিভিন্ন ধরনের বিমানের মহড়া এবং অন্যান্য অপারেশনাল ও মেইনটেন্যান্স কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন।
আট দিনব্যাপী এই বার্ষিক মহড়া ‘আকাশ বিজয়’ দেশের সব প্রধান ঘাঁটি, বিভিন্ন স্টেশন ও ইউনিটে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ২৩ এপ্রিল শুরু হওয়া এ মহড়া আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
মহড়ার উল্লেখযোগ্য অংশ হিসেবে বিমান বাহিনীর বৈমানিকরা আকাশ যুদ্ধের বিভিন্ন প্রকার রণকৌশল অনুসরণ করে যুদ্ধ বিমানের মাধ্যমে আক্রমণ, শত্রুবিমান শনাক্তকরণ, আকাশ থেকে শত্রুকবলিত স্থান পর্যবেক্ষণ, রসদ সরবরাহ, সৈন্য ও যুদ্ধাস্ত্র স্থানান্তর, স্পেশাল অপারেশন, অনুসন্ধান ও উদ্ধারসহ সব ধরনের অপারেশন পরিচালনা করছেন।
বিমান বাহিনীর সব প্রধান ঘাঁটিসহ সিলেট, লালমনিরহাট, শমশেরনগর, বগুড়া, বরিশাল, রসুলপুর ও সুধারামে অবস্থিত বিভিন্ন স্টেশন ও ইউনিটগুলোতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।
এ মহড়ায় বিমান বাহিনীর সব ধরনের যুদ্ধ ও পরিবহণ বিমান, হেলিকপ্টার ইউনিট, র্যাডার ইউনিট, মিসাইল ইউনিট এবং আনম্যান্ড এরিয়াল সিস্টেম ইউনিট সর্বাত্মকভাবে অংশগ্রহণ করছে। এই মহড়ায় বিমান বাহিনীর বিভিন্ন র্যাডার স্কোয়াড্রনের মাধ্যমে শত্রুপক্ষের আক্রমণকে চিহ্নিত করে নিজ বাহিনীর যুদ্ধ বিমান ও মিসাইল ইউনিটের সহায়তায় উক্ত আক্রমণকে প্রতিহত করার কৌশল অনুশীলন করা হচ্ছে। আকাশ যুদ্ধ ছাড়াও ভূমিতে ঘাঁটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট সকল কৌশল অনুশীলন করা হচ্ছে। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ও কমান্ডো দল কর্তৃক কমবেট সার্চ অ্যান্ড রেস্ককিউ (এসসিআর) অপারেশন, পরিবহণ বিমান দ্বারা জরুরি রসদ স্থানান্তর, বিমান বাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সহায়তায় বোমা অথবা বিস্ফোরক দ্রব্য শনাক্ত ও নিষ্ক্রিয়করণ এর কার্যক্ষমতা যাচাই এবং স্ক্র্যাম্বলের মাধ্যমে আকাশসীমায় অনুপ্রবেশকারী শত্রু বিমানকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে এয়ার ডিফেন্স এলার্টে (এডিএ) কর্তব্যরত যুদ্ধবিমানকে ব্যবহার করা, ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি এবং সময় সংবেদনশীল টার্গেটে আক্রমণ ইত্যাদি অনুশীলন করা হচ্ছে।
এ মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর শক্তিমত্তা যাচাই এবং বিদ্যমান সমরাস্ত্রের কার্যকারিতা মূল্যায়ন করে এর দুর্বল দিকগুলো নির্ণয় করে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করা হবে। এসব গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ ভবিষ্যতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে আরও উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।