বেঁচে থাকার আকুতি সাড়ে ৬ বছরের ইয়াকিনের, প্রয়োজন ৭০ লাখ টাকা

যে বয়সে শিশুরা ব্যাগ কাঁধে নিয়ে স্কুলে ছুটে বেড়ায়, সে বয়সেই হাসপাতালের বিছানায় বেঁচে থাকার জন্য যুদ্ধ করে যাচ্ছে সাড়ে ছয় বছর বয়সী মির্জা মোহাম্মদ ইয়াকিন। রাজধানীর রামপুরার বাসিন্দা ইয়াকিন ভুগছে ব্লাড ক্যানসারে।
২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর হঠাৎ ১০৬ ডিগ্রি জ্বর নিয়ে প্রথমবার ডাক্তারের শরণাপন্ন হয় ইয়াকিন। সেদিনই রামপুরার বেটার লাইফ হসপিটালে ডাক্তার সুবীর দের অধীনে ভর্তি করা হয় তাকে। এরপর ডাক্তার বিভিন্ন টেস্ট করে জানায়, ম্যালিগন্যান্ট সেল বা ক্যানসার সেল আছে তার শরীরে।
এরপর ইয়াকিনের পরিবার রাজধানীর শ্যামলীর শিশু হাসপাতালে ক্যানসার বিভাগে তাকে ভর্তি করায়। সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বোন ম্যারো রিপোর্টে জানা যায়, ইয়াকিনের শরীরে Acute Aymphoblastic Leaukemia (ALL) ব্লাড ক্যান্সার 90% Blast সেলসহ শনাক্ত হয়েছে। এরপর ২০২১ সালের ১১ জানুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত 5 cycle (বিভিন্ন ধরনের ২৮টি Vein ও IT মেরুদণ্ডের ভিতরে Muscle এ) ক্যামোথেরাপি দেওয়া হয়।
এরপর ভারতের বেঙ্গালোরে সাইটকেয়ার ক্যানসার হাসপাতালে ডা. বসুধা এন রাওয়ের (পেডিয়াট্রিক অনকোলজিস্ট) অধীনে এক বছর বিভিন্ন মেয়াদে, বিভিন্ন ধরনের ৯০টিরও বেশি ক্যামোথেরাপি দেওয়া হয়। এরপর ২০২২ সালে ভারত থেকে বাংলাদেশে ড. শেখ ফারজানা সোনিয়ার (সহকারি অধ্যাপক) অধীনে এমআর খান শিশু হাসপাতালে রেফার করা হয়।
মেইনটেন্যান্স পিরিয়ডে বাকি ক্যামোথেরাপি তার তত্ত্বাবধানে থেকে রাজধানীর উত্তরার আহসানিয়া মিশন ক্যানসার হাসপাতাল থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত নেয়া হয়। এরপর থেকে প্রায় দুই বছর ইয়াকিনের শারীরিক অবস্থা মোটামুটি ভালো থাকে।
কিন্তু চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল ইয়াকিনের শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। এতে তার পরিবার পুনরায় ঢাকা শিশু হাসপাতালের রেজিষ্টার ড. সাজেদা সুলতানাকে দেখালে তিনি বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে বলেন, ক্যান্সার ফিরে এসেছে।
এরপর তার পরিবার আহসানিয়া মিশন ক্যানসার হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ড. জুবায়ের এ খানের শরণাপন্ন হলে তিনি বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বলেন, Relapsed ALL আসাটা চার বছর চিকিৎসার পর খুবই দুর্ভাগ্যজনক এবং বলেন হাইডোজ ক্যামোথেরাপি আরও দেওয়ার পরও ইয়াকিনের বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে।
এ অবস্থায় ইয়াকিনের পরিবার আহসানিয়া মিশন ক্যানসার হাসপাতালে ভর্তি করালে পরবর্তী ক্যামোথেরাপি চিকিৎসা চলতে থাকে।
গত চার বছরে পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশীসহ অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাহায্যে অনেক টাকা (প্রকৃত পক্ষে হিসাব সম্ভব নয়) খরচ হয়েছে। এইবারের চিকিৎসায় ইতোমধ্যে সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
ডাক্তারদের মতে, ক্যামোথেরাপি ও বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টসহ আরও বিভিন্ন আনুসঙ্গিক প্রয়োজন বাবদ ৭০ লাখ টাকা প্রয়োজন, যা ইয়াকিনের পরিবারের পক্ষে বহন করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইয়াকিনের বাবা পেশায় একজন কোচিং সেন্টারের শিক্ষক। গত চার বছরের চিকিৎসা ব্যয় অনেকের সাহায্য নিয়ে করতে গিয়ে এখন তিনি নিঃস্ব।
এ অবস্থায় দেশবাসীর কাছে সহযোগিতা চেয়েছে ইয়াকিন। এই ছোট্ট শিশুটিকে কেউ সহায়তা করতে চাইলে যোগাযোগ করুন:
মির্জা মো. ইয়াসির নাবিল (ইয়াকিনের বাবা)
নাফিসা ইসলাম (ইয়াকিনের মা)
ঠিকানা : ১২৫, পূর্ব রামপুরা-ঢাকা ১২১৯ (ছালামবাগ মসজিদের পাশে)
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তথ্য :
Account name : Mirza Md. Yasir
Account number : 0112003947611
Bank name : Exim Bank
Branch : Paltan
Routing number : 100275201