বাঁচতে চান তৃষা, অর্থাভাবে থেমে আছে চিকিৎসা
জীবন কখনো কখনো অপ্রত্যাশিত পথে বাঁক নেয়। তৃষার জীবনেও এক অন্ধকার অধ্যায় শুরু হয়েছিল চলতি বছরের জুন মাসে। তখন থেকে তার শরীর খারাপ হতে শুরু করে। সে সময় সবাই ভেবেছিল, হয়তো কিছু দিনের মধ্যেই সে ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তার অবস্থা ক্রমেই খারাপ হতে থাকে। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেও প্রথমে কোনো রোগ ধরা পড়েনি। কিন্তু জুলাই মাসে এক দুঃখজনক খবর আসে। তৃষার পেটে দুটি বড় টিউমার ধরা পড়ে (যার ওজন ছিল প্রায় সাড়ে ৫ কেজি)।
এরপর ১৩ই জুলাই তার অপারেশন করা হয়। অপারেশন সফল হলেও, তার শরীরের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। অপারেশনের পর থেকেই তার প্রচণ্ড রক্তশূন্যতা ও দুর্বলতা শুরু হয়। এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে তৃষা বলেন, ‘আমি মনে করছিলাম, হয়তো আমি আর সুস্থ হতে পারব না। কিন্তু আমি হাল ছাড়েনি।’
অবশেষে ২৩শে অক্টোবর শরীর আরও খারাপ হয়ে গেলে তাকে ঢাকার বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (সাবেক পিজি) ভর্তি করা হয়। পরীক্ষার পর ডাক্তাররা জানান, তৃষা ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত। তার রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ২ পয়েন্ট (g/dL), যা তার জীবন বিপদে ফেলেছিল।
বর্তমানে তৃষা ওই হাসপাতালের ক্যানসার বিভাগের ১৫১১ নম্বর রুমে ভর্তি আছেন। প্রথম কেমোথেরাপির পর তার শরীর তা নিতে পারেনি, কিন্তু তাতে তার আশা শেষ হয়নি। তাকে নিয়মিত রক্ত, দামি ইনজেকশন এবং বিশেষ মেডিসিন দেওয়া হচ্ছে, যাতে করে তাকে জীবিত রাখা যায়। কিন্তু এতে চিকিৎসার খরচ আরও বেড়ে গেছে। তার বাবা জীবনের সব কিছু দিয়ে তৃষার চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে তৃষা বলেন, ‘প্রথম ধাপের চিকিৎসায় আব্বুর জমানো প্রায় চার লক্ষাধিক টাকা শেষ হয়ে গেছে। আর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আমাকে বাঁচাতে হলে দ্বিতীয় কেমোথেরাপিসহ আরও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন, যার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে বাবার পক্ষে এই বিশাল চিকিৎসার খরচ বহন করা আর সম্ভব হচ্ছে না। টাকার অভাবে আমার চিকিৎসা এখন বন্ধ হওয়ার পথে। আমার দুটি ছোট বাচ্চার দিকে তাকিয়ে আপনারা কি একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন না?’
তাই বর্তমানে চিকিৎসা চালিয়ে নিতে সমাজের বিত্তবান ও হৃদয়বান ভাই-বোনদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন মিম আহমেদ তৃষা।
নাম: মিম আহমেদ তৃষা
বিকাশ নাম্বার: ০১৯৯৫০৭৭২৫৭
যোগাযোগ: ০১৮০৬-৬৭০১২৭ (রোগীর বড় বোন)

নিজস্ব প্রতিবেদক