কিশোরগঞ্জে দেহব্যবসায় বাধা দেওয়ায় ছাত্র হত্যায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দেহব্যবসায় বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধের ঘটনায় এক ছাত্র হত্যার মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। আজ মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে বিচারক ফাতেমা আক্তার স্বর্ণা এই রায় ঘোষণা করেন ও ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেন। রায়ে আসামিদের দশ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—ভৈরবপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মো. সুমন মিয়া (৩৯), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দৌলতদিয়া গ্রামের সেলিনা বেগম (৪১) ও সোনারামপুর গ্রামের শোভা প্রকাশ (৪৭)। এর মধ্যে সেলিনা বেগম ছাড়া বাকি দুই আসামি জামিনে থেকে পলাতক রয়েছেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি শফিউজ্জমান জানান, ২০০৮ সালের ৬ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে হাজী আসমত কলেজের বিএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ আলীকে (২২) ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় তার বন্ধু মুরাদও গুরুতর আহত হন।
পরে নিহতের পিতা শামসউদ্দিন ভৈরব থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে চারজনকে আসামি করা হয়। যাদের মধ্যে মো. সুমন মিয়া ও মহরম আলী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে মহরম আলী মারা যান। জবানবন্দিতে আসামিরা জানান, দেহব্যবসায় বাধা দেওয়ায় মোহাম্মদ আলীকে হত্যা করা হয়েছে।
আদালতে আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান।

মারুফ আহমেদ, কিশোরগঞ্জ